This Article is From Jun 25, 2020

লাদাখ উত্তেজনা উদ্বেগজনক: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

গত প্রায় একমাস ধরে চলা এই সীমান্ত উত্তেজনা প্রশ্নে এই প্রথম সরকারি বিবৃতি দিল ব্রিটেন।

লাদাখ উত্তেজনা উদ্বেগজনক: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে। এমনটাই আশা প্রকাশ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

লন্ডন:

ইন্দো-চিন সীমান্ত সংঘাত (Indo-China border dispute) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বরিস জনসনের (British PM on East Ladakh tension) মত, "পূর্ব লাদাখের উত্তেজনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর উদ্বেগজনক। আশা করবো আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানসূত্র মিলবে। গত প্রায় একমাস ধরা চলা এই সীমান্ত উত্তেজনা প্রশ্নে এই প্রথম সরকারি বিবৃতি দিল ব্রিটেন। ইন্দো-চিন সীমান্ত সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী (PM Boris Johnson)। বরিস জনসনের মত, "পূর্ব লাদাখের উত্তেজনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর উদ্বেগজনক। আশা করবো আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানসূত্র মিলবে। আমরা ঘটনা পরম্পরায় নজর রাখছি।" গত প্রায় একমাস ধরে চলা এই সীমান্ত উত্তেজনা প্রশ্নে এই প্রথম সরকারি বিবৃতি দিল ব্রিটেন। কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদ ফ্লিক ড্রুমন্ডের এক প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ভারত ও চিনের নাম না করে ফ্লিকের প্রশ্ন, "কমনওয়েলথ দেশের সদস্য ও বিশ্বের বৃহৎ গণতন্ত্রের মধ্যে হওয়া সংঘাতে ব্রিটেনের ভূমিকা কী?" ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, "আমরা উৎসাহ দেবো আলোচনার টেবিলে বসে দুই দেশ সমস্যা সমাধানের দিশা বের করুক।"

এদিকে, অব্যাহত চিনের প্রহসন। দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা উপেক্ষা করেই উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল চিনা নির্মাণের ছবি। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা কমাতে ভারত ও চিনের আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার একদিন পরেই, উন্নতমানের উপগ্রহ চিত্রে গালোয়ান নদী উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুই দিকেই চিনা নির্মাণের ছবি ধরা পড়ল।১৫ জুন ওই এলাকায় সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান প্রাণ হারান। ভারতীয় সেনা বাহিনীর পদস্থ আধিকারিকদের বিশ্বাস, চিনের ৪৫ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে, তালিকায় একজন কর্নেল পদমর্যাদার আধিকারিকও।

পেট্রোল পয়েন্ট ১৪ নম্বর সংলগ্ন এলাকার ছবি ধরা পড়েছে, সেখানেই ১৫ জুন সংঘর্ষ হয়। এর আগে ১৬ জুনের উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, এই এলাকায় ধ্বংসস্তুপ রয়েছে। নতুন চিত্রে দেখা যাচ্ছে, ওই জায়গায় সম্ভবত প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে চিনের তরফে। নতুন চিত্রে আরও দেখা গিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৬ জুন সেটি ছিল না।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রমেশ ফাড়ি বলেন, “১৪ নম্বর পেট্রোল পয়েন্টে অনুপ্রবেশের পরিষ্কতার লক্ষণ রয়েছে”। তাঁর কথায়, “ছবিতে ভারি যানবাহন চলাচলের চিত্র স্পষ্ট, যার মাধ্যমে ওই এলাকায় বাহিনী মোতায়েনের উদ্দেশের ইঙ্গিত মেলে”।

সেনা বাহিনী ও বিদেশমন্ত্রকের মতামত চেয়ে যোগাযোগ করে NDTV। তাঁরা উত্তর দিলে এই রিপোর্ট আপডেট করা হবে। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, “আমরা বিষয়টি দেখছি”।

গালোয়ানের সবচেয়ে স্পষ্ট ছবি দেওয়া ম্যাক্সারের ছবি এসেছে, এখনও পর্যন্ত তারাই সবচেয়ে স্পষ্ট ছবি দিয়েছে, এই প্রথমবার গালোয়ান নদীর ওপর কালভার্ট নির্মাণ ধরা প়ড়েছে যেটি তৈরি করা হয়েছে এক কিলোমিটারের মধ্যে, কালো কাপড়ে ঢাকা চিনা ট্রাকেরও ছবি দেখা গিয়েছে।

১৬ জুন ছবিতে দেখা গিয়েছিল গালোয়ান নদীর প্রবাহ বন্ধকরতে বুলডোজার আনা হয়েছে, সেই জায়গার কাছেই কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। ২২ জুন নয়া উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, কালভার্টের নিচ দিয়ে গালোয়ান নদীর প্রবাহ চলছে।

গালোয়ান নদী উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর রাস্তা যথেষ্ঠ পরিমাণে চওড়া করা হয়েছে মাটি খোঁড়ার যন্ত্র দিয়ে। গালোয়ানের চিনের অংশের উল্টোদিকে কোনও ভারতীয় রাস্তা নির্মাণের কাজের চিত্র ধরা পড়েনি। যদিও, উত্তরের দৌলতবেগ ওল্ডি এবং দক্ষিণের ডারবাকের সংযোগকারী ৬ কিলোমিটার জাতীয় সড়কের কাজ সম্পন্ন করেছে ভারত। মনে করা হয়, যে, এই রাস্তা নির্মাণ, সেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চলাচল সহজ হবে এই রাস্তার মাধ্যমে. যা চিন্তার কারণ লাল ফৌজের। নয়াদিল্লির তরফে একাধিকবার জানানো হয়েছে যে, কোনও উদ্দেশে পূর্ব লাদাখে পরিকাঠামো নির্মাণ করা হয়নি।

সোমবার চুসুলের মোল্ডো এলাকায় লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক হয় দুই দেশের মধ্যে,প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে এলাকাগুলি নিয়ে দুই দেশের মতপার্থক্য রয়েছে সেগুলি মেটাতে সম্মত হয় দুই দেশ। যদিও উষ্ণ বৈঠক হয়,তবে দুই পক্ষই এখনও তাদের বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেনি।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)

.