প্রিন্সেস ডায়না এবং তার স্বামী প্রিন্স চার্লস এলএম সিংভিকে চিঠি লিখেছিলেন। (ফাইল চিত্র)
নয়া দিল্লি: কলকাতায় এসে এইডস রোগীদের সেবা করতে চেয়েছিলেন প্রিন্সেস ডায়না। ১৯৯৭ সালে প্রিন্সেস ডায়না (Princess Diana) মাদার থেরেসার সঙ্গে কথা বলার পরে কলকাতায় এইডস রোগীদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে ব্রিটেনে ভারতের তৎকালীন হাই কমিশনার (high commissioner to the UK) এলএম সিংভির (LM Singhvi) উপর লেখা একটি নতুন বইয়ে প্রকাশিত হল এই তথ্য। "দ্য জার্নি অফ এ ওয়াইজ ম্যান: এলএম সিংভি" শিরোনামে, তাঁর ছেলে অভিষেক সিংভির লেখা বইটিতে অনেক আকর্ষণীয় বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। জানা গেছে, প্রিন্সেস ডায়না এবং তার স্বামী প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে এলএম সিংভির এক সুদৃঢ় বন্ধুত্ব ছিল। পলিম্পেস্ট প্রকাশিত এই বইটিতে অনেক ঐতিহাসিক বিরল মুহূর্তের ছবি এবং নথি রয়েছে। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে ১৯৬২ সালে একজন জৈন মুনির সঙ্গে আধ্যাত্মিক অধিবেশন করছেন, এমন ছবিও রয়েছে ওই বইটিতে।
"২০১৯-এই তোষণের রাজনীতির অবসান ঘটাতে হবে", বললেন অমিত শাহ
"আমি আপনার মাদার থেরেসার সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে লেখাটা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়েছি। তার সঙ্গে আমারও সাক্ষাতের সুখস্মৃতি রয়েছে এবং তিনি সবসময় আমার মননে বিরাজ করেন," প্রিন্সেস ডায়ানা সিংভিকে ১৯৯৭ সালের ১মে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন।.
তিনি আরও বলেছিলেন, "কলকাতার এইডস রোগীদের সেবায় আমি যুক্ত হতে চাই এবং মাদার থেরেসা আমাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার পর বিষয়টি আমায় গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে," তিনি (Princess Diana) আরও বলেছিলেন ওই চিঠিতে।
১৯৯৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তারিখে কেনসিংটন প্যালেস থেকে লেখা অন্য একটি চিঠিতে প্রিন্সেস ডায়না ভারতের হয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। "হাই কমিশনার আপনি যদি মনে করেন যে আমি আপনার দেশকে যে কোনও উপায়ে সহায়তা করতে পারি তবে দয়া করে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে দ্বিধা করবেন না", এই প্রস্তাবও দেন তিনি (Princess Diana)।
বন্যা কবলিত উত্তরভারতের কয়েকটি রাজ্য, মৃত ২৮, রইল দশটি তথ্য
"দ্য জার্নি অফ এ ওয়াইজ ম্যান: এলএম সিংভি" বইটির লেখক, রাজ্যসভার সদস্য এবং আইন বিশেষজ্ঞ,অভিষেক সিংভি, তাঁর বাবার (LM Singhvi) অগ্রণী উদ্যোগগুলি যেমন ভারতীয় ডায়াস্পোরা প্রকল্প, লোকপাল এবং পঞ্চায়েতি রাজের দুটি উচ্চ-শক্তি কমিটির নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের দিকে নিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কেও আলোকপাত করেছেন।
এই বইটিতে কূটনীতিক, রাজনীতি, সংস্কৃতি ও আইনশাস্ত্রে অভিজ্ঞ এলএম সিংভির অবদানের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রাক্তন কূটনীতিক ললিত মানসিং এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধি, দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আর সি লাহোতি এবং প্রবীণ নেতা মুরলি মনোহর যোশীরও লেখা প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে।
অভিষেক সিংভি তাঁর বাবাকে (LM Singhvi) একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হিসাবে বর্ণনা করে বলেন তিনি সংস্কৃত, হিন্দি এবং ইংরেজি সাহিত্যের বিষয়ে প্রভূত জ্ঞান রাখার পাশাপাশি নানা ধরণের কাজেও পারদর্শী ছিলেন।