প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। (প্রতীকী)
হাইলাইটস
- ১৮০ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য সহ ইউক্রেন এয়ারলাইনসের বিমানে দুর্ঘটনা
- তেহরানের এক বিমান বন্দর থেকে আকাশে ওড়ে বিমানটি
- ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আছড়ে পড়ে বিমানটি
নয়াদিল্লি: ইরানের রাজধানী তেহরানের (Tehran) ইমাম খুমেনি বিমানবন্দর থেকে আকাশে ওড়ার পরেই ১৮০ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য সহ ইউক্রেন এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান মাটিতে আছড়ে পড়েছে (Tehran Plane Crash)। গত শুক্রবার ইরানের জেনারেল কাসিম সুলেমানি মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই ঘটল এই বিমান দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় অন্তত ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে খুমেনি বিমান বন্দর। এদিকে ইরানের দুরদর্শন ও ইউক্রেনের তরফে আশঙ্কা, দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। ইরানের তৎকালীন পরিষেবার প্রধান পিরহোসেন কোলিভান্ড ইরানের দূরদর্শনে বলেন, ‘‘বিমানে এমন ভয়াবহ আগুন লেগেছে, আমরা উদ্ধারকার্য চালাতে পারছি না। আমাদের ২২টি অ্যাম্বুল্যান্স, চারটি বাস অ্যাম্বুল্যান্স ও একটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে। ''
সুলেমানির মৃত্যুর পরে আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। উপসাগরীয় আকাশে এখন যুদ্ধের কালো মেঘ। আমেরিকার উপরে প্রতিশোধ নেওয়ার দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে ইরানে। বুধবার সকালে ইরাকে অবস্থিত আমেরিকা ব্যবহৃত দু'টি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।
ইরাকের দু'টি বিমানঘাঁটি আল-আসসাদ ও ইরবিলকে লক্ষ্য করে ওই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষিপ্ত হয়। ওই হামলায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। ওই হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘটেছে এই বিমান দুর্ঘটনা। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ জানিয়েছে, বিমানটি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই আছড়ে পড়েছে।
এর আগে কাজাখস্তানের কাছে অলমাটিতে বিমানবন্দরের কাছে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই বিমানে ১০০ জন যাত্রী ছিল। গত শুক্রবার ওই দুর্ঘটনা ঘটে। মোট ৯৫ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু সদস্য ছিল ওই বিমানে। দুর্ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে।