Read in English
This Article is From Jun 25, 2020

"রাত কাটানো, মদ্যপান ভারতীয় নারীর পরিচয় নয়", ধর্ষণে জামিন মামলায় বললো আদালত

আদালতের বক্তব্য, "এর আগে বহুবার অভিযুক্ত নিগৃহীতাকে যৌন নিগ্রহ করেছে। এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাহলে তখন কেন তিনি কোর্টের দ্বারস্থ হয়নি?"

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

এই মামলার অভিযোগকারী গত দু'বছর ধরে অভিযুক্তের সংস্থায় কর্মরত। এমনটাই পর্যবেক্ষণ কোর্টের।

বেঙ্গালুরু :

ধর্ষণের পর ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়া ভারতীয় নারীদের সংস্কৃতির সঙ্গে বেমানান । এমন পর্যবেক্ষণের ওপর ভর করে ধর্ষণে অভিযুক্তকে জামিন দিল কর্নাটক হাইকোর্ট । পাশাপাশি এই মামলার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। কোর্টের দাবি, "আদালতের সামনে দাখিল করা তথ্য-প্রমাণে চোখ বুলিয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না অভিযুক্ত বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছেন।" জানা গিয়েছে, নিগৃহীতা, অভিযুক্তের সংস্থায় দু'বছর ধরে কাজ করছে। অভিযুক্তের তরফে করা জামিন মামলার শুনানিতে আদালত বলেছে, "বয়ানে নিগৃহীতা বলে দাবি করা মহিলা স্পষ্ট করেননি কেন তিনি রাত ১১টার সময় অফিসে গিয়েছিলেন। অভিযুক্ত তাঁকে মদ্যপানের প্রস্তাব দিলেও তিনি না করেনি। এমনকী, সারারাত অভিযুক্তের সঙ্গে রাত কাটানোয় কোনও আপত্তি তোলেননি অভিযোগকারী।" "রাত কাটানো প্রসঙ্গে আবার নিগৃহীতা বলেছেন, সেই নির্যাতনের পর তিনি ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এটা ভারতীয় নারীর সংস্কৃতির সঙ্গে বেমানান।" এমনটাই বৃহস্পতিবার শুনানিতে বলেন বিচারক কৃষ্ণ এস দীক্ষিত।

এমনকী, কোনও ভারতীয় মহিলা নির্যাতিত হলে কখনই এই ধরনের আচরণ করে না। পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন বিচারপতি।  এদিকে, আদালতের বাইরে আপস হলে মামলা প্রত্যাহার করবেন নিগৃহীতা। এমন একটা প্রস্তাব গিয়েছে অভিযুক্তের কাছে। আদালত এদিন সেই প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছে।

আদালতের বক্তব্য, "এর আগে বহুবার অভিযুক্ত নিগৃহীতাকে যৌন নিগ্রহ করেছে। এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাহলে তখন কেন তিনি কোর্টের দ্বারস্থ হয়নি?" পাশাপাশি অভিযুক্তকে এক লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্তাধীনে জামিন দিয়ে আদালত স্পষ্ট করেছে, তথ্য-প্রমাণে লোপাট করতে পারবেন না আবেদনকারী।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement