কোনওরকম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বা বিবৃতি ছাড়াই শেষ হল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UN Security Council) রুদ্ধদ্বার বৈঠক। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিল নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য। পাকিস্তা্ন এবং তাদের সবসময়ের বন্ধু রাষ্ট্র চিনের (China), কাশ্মীর সমস্যাকে আন্তর্জাতিক স্তুরে নিয়ে যাওয়ার যে উদ্দ্যেশ, তাতে ধাক্কা দিয়ে বেশীরভাগ সদস্যই জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর সমস্যা (Kashmir Issue) নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। শুক্রবার, চিনের অনুরোধে, নিরাপত্তা পরিষদের (UN Security Council) এই এক ঘন্টার বৈঠক হয়। যদিও তা কোনও আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। তারপরেই সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রসংঘে বেজিং-এর দূত ঝাং জুন এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মালেহা লোধি। যদিও সাংবাদিকদের থেকে কোনও প্রশ্ন নেননি তাঁরা।
ইমরান খানকে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরামর্শ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের
আলোচনার সঙ্গে যুক্ত সূত্র, সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, চিনের তরফে চাপ দেওয়া হয়েছিল, যাতে আলোচনার পর, নিরাপত্তা পরিষদের (UN Security Council) অগস্টের প্রেসিডেন্ট পোল্যান্ডের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়। সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে চিনের পাশে দাঁড়ায় ব্রিটেন।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, “রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের তোলা কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলায় কোনও আকর্ষণণ নেই। এবারে তারা কোনও নজর চানতেও পারেনি। আলোচনার পর, কোনও ফলাফল নেই, পোল্যান্ডের তরফে বিবৃতিও নেই”।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের মধ্যে, বেশীরভাগের বক্তব্য, আলোচনার পরে, কোনও বিবৃতি বা ফলাফল থাকা উচিত নয়।
“পুরোপুরিই অভ্যন্তরীণ বিষয়”, কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর বলল ভারত
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন সংবাদমাধ্যমে, চিন এবং পাকিস্তানের তরফে তোলা বিবৃতির দাবি তুলে ধরে বলেন, “আন্তর্জাতিক মহলের দাবিতে যদি জাতীয় বিবৃতি দেওয়া হয়”, তাহলে, তিনিও নয়াদিল্লির জাতীয় অবস্থান তুলে ধরবেন।
আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রে উপস্থিত থাকা গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UN Security Council) “বেশীরভাগ” সদস্যই উল্লেখ করেছে, কাশ্মীর সমস্যা, ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়, এবং তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে হবে, যা কাশ্মীরকে আন্তর্জাতিক স্তরে কাশ্মীরকে পাকিস্তানের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার পথে ধাক্কা।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের দাবি জানিয়েছিল ভেটো দেওয়ার ক্ষমতাসহ স্থায়ীসদস্য চিন। নিরাপত্তা পরিষদের নিয়মানুযায়ী, যে কোনও ইস্যুতেই আলোচনার দাবি জানাতে পারে সদস্যরা। “কোনও কিছু করা এবং অন্যকোনও পদক্ষেপের জন্য সবাই দাবি জানিয়েছিল” ,তবে শুক্রবারের বৈঠকের কোনও রেকর্ড নেই।
কাশ্মীর নিয়ে রুদ্ধধার বৈঠক রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের
নিয়ম সম্পর্কে জানা সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের সদস্যের মধ্যে আলোচনায়, প্রতিটি তত্ত্বই “খণ্ড খণ্ড করে” ভাঙতে সক্ষম হয়েছে ভারত। ভারতের প্রতিক্রিয়া ছিল পরিষ্কার, যে সার্ভভৌম একটি দেশের সাংবিধানিক বিষয় কী করে শান্তি ও নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে, যেমনটা ৩৭০ ধারা প্রসঙ্গে অভিযোগ করেছে পাকিস্তান।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, “কী করে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় চুক্তি, সীমান্তের বাইরে জট তৈরি করতে পারে”। ভারতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়,শিমলা চুক্তি নিয়ে দায়বদ্ধ তারা।
“মানবধিকার লঙ্খনের অভিযোগ” প্রসঙ্গে বলা হয়, সূত্রের খবর, “পাকিস্তানও পরাজিত হয়েছে এই যুদ্ধে, কারণ মানবধিকারের কথা বলেছে চিন”।