This Article is From Aug 29, 2018

"অঘোষিত জরুরি অবস্থা" সমাজকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে সরব নাগরিক সমাজ

পাঁচজন প্রখ্যাত বামপন্থী সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করার পরদিন আদালতে দাঁড়িয়ে নাগরিক সমাজের কৌঁসুলী আজ জানালেন যে, রাষ্ট্রে এখন অঘোষিত ‘জরুরি অবস্থা’ চলছে।

কলেজ স্ট্রিট থেকে এসপ্ল্যানেড চত্বর পর্যন্ত একটি সংগঠিত মিছিলের আয়োজন করা হয়।

কলকাতা:

একাধিক রাজ্য ও শহরে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচজন প্রখ্যাত বামপন্থী সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করার পরদিন আদালতে দাঁড়িয়ে নাগরিক সমাজের কৌঁসুলী আজ জানালেন যে, রাষ্ট্রে এখন অঘোষিত ‘জরুরি অবস্থা’ চলছে। কলকাতায় আজ কলেজ স্ট্রিট থেকে এসপ্ল্যানেড চত্বর পর্যন্ত একটি সংগঠিত মিছিলের আয়োজন করা হয়। যে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন সমাজের বিভিন্ন পেশার বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। এই মিছিলের মধ্যে থেকেই গতকালের পুলিশি ধরপাকড়ের বিরুদ্ধে তীব্র আওয়াজ ওঠে। দাবি তোলা হয়, যাতে, অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট সমাজকর্মীদের পুলিশি হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি সুজাত ভদ্র বলেন যে, ভারতের গণতন্ত্র এখন একটি অন্ধকারতম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

“ইন্দিরা গান্ধী সত্তরের দশকে অন্তত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন সরকারিভাবে। কিন্তু, এখন মোদী সরকার সম্পূর্ণ অঘোষিতভাবে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা চালিয়ে যাচ্ছে”, বলেন সুজাত ভদ্র।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় ভারাভারা রাও, ভার্নন গনজালভেস, অরুণ ফেরেরা, সুধা ভরদ্বাজ এবং গৌতম নওলখাদের গ্রেফতার করার সময় সমস্ত কিছু নিয়মমতো মেনে চলা হয়নি।  যে কারণেই, মানবাধিকার কমিশন জানায়, তাঁদের মানবাধিকার সম্পূর্ণভাবে রক্ষিত হয়নি এই গ্রেফতারির মুহূর্তে।   

.