তামিলনাড়ুর ৫৫টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। (প্রতীকি ছবি)
হাইলাইটস
- Income Tax has seized Rs 700 crore during search operation in Tamil Nadu
- Income Tax Department searched 2 beer and liquor producers
- The search was carried at 55 locations in various places of the state
হিসাব বহির্ভূত ৭০০ কোটি টাকার হদিশ পেল আয়কর দফতর (Income Tax Department)। দুটি মুখ্য বিয়ার ও দেশি মদের (Indian-made foreign liquor) ভাঁটিতে হানা দিয়ে এই অর্থের সন্ধান মিলেছে। দক্ষিণের তামিলনাড়ুতে অভিযান চালান আয়কর দফতরের (Income Tax Department) কর্তারা। সেই তল্লাশির সময় এই বিরাট অঙ্কের টাকার উপর কর (Tax) ফাঁকির বিষয়টি নজরে আসে। গত মঙ্গলবার তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। সূত্র মারফত গত কয়েকদিন ধরেই আয়কর দফতরের (IT) আধিকারিকদের কাছে এই কুকীর্তির খবর আসে। সেই মতো, চেন্নাই, কোয়েম্বাটুর, তানঝাভুর সহ ৫৫টি জায়গায় হানা দেওয়া হয়। তল্লাশি চালানো হয় গোয়া, কেরল ও অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কয়েকটি জায়গাতে।
আয়কর দফতর প্রকাশিত এক বিবৃতে জানানো হয়, মুখ্য বিয়ার ও দেশি মদ প্রস্তুতকারক সংস্থার ভাঁটিগুলিতে (distilleries) অভিযান চালানো হয়েছে। তবে, কোনও সংস্থা বা ব্যক্তির নামের উল্লেখ নেই তাতে। এছাড়াও জানানো হয়, ওই সংস্থার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মী ও পণ্য সরবরাহকারীদেরও তল্লাশির অংশ করা হয়েছিল।
বর্ধিত উৎপাদন খরচ (expenditure) দেখিয়ে কিছু সংস্থা কর ফাঁকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল। এক্ষেত্রে মদের বোতল ও কাঁচামালের কেনার খরচ অনেকটাই বাড়িয়ে দেখানো হত। অনুসদ্ধানে ক্রমশ বিষয়গুলি স্পষ্ট হয়। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সরবরাহকারীদের চেকে বা আরটিজিএস-এর মাধ্যমে অনেক বেশি দাম দেওয়া হত। পরে সেই বর্ধিত টাকা বিয়ার ও দেশি মদ প্রস্তুতকারী সংস্থার অনুগত কর্মীদের ফিরিয়ে দেওয়া হত। গত চয় বছর ধরে চলছে এই চোরা কারবার। এই সময়কালে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা আয়কর দফতরের তদন্তকারীদের।
এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। একই কায়দায় আরও একটি দেশি মদ প্রস্তুতকারী সংস্থার কর ফাঁকির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি আয়কর দফতরের। এক্ষেত্রে সাতটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। তদন্তকারীদের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৩০০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওযা হয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন ওই দুই সংস্থার কর্মীদের উপর নজরদারি রাখা হয়। এতে দেখা যায় কয়েকজন হিসাব বহির্ভূত টাকা এক জায়গা থেকে অন্যত্র সরাচ্ছেন। এতেই নগদ ও একটি গাড়ির মধ্যে থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা উদ্ধার হয়।