প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে স্বাতী মালিওয়াল দাবি জানান, ছ’মাসের মধ্যে বিচার শেষ করে ধর্ষকদের ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে।
নয়াদিল্লি: বাধার মুখে পড়লেন দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল। অনির্দিষ্টকালের জন্য তিনিঅনশনে বসেছিলেন রাজধানীর যন্তর মন্তরে। দাবি, ধর্ষকদের তাদের দ্রুত বিচার ও মৃত্যুদণ্ড। দিল্লি পুলিশ তাঁকে বাধা দিলে স্বাতী মালিওয়াল জানান, তিনি কোনও ‘‘অপরাধী'' নন এবং এটা দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, দিল্লি পুলিশ সহযোগিতা করছে না। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে দাবি জানান, ছ'মাসের মধ্যে বিচার শেষ করে ধর্ষকদের ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে। মঙ্গলবার সকালে টুইট করে স্বাতী জানান, ‘‘আমি আমরণ অনশন করব যতদিন না ওরা (কেন্দ্র) তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করে। দেশে পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে ও ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরি করতে হবে। ৬৬,০০০ পুলিশ এক্ষুনি দিল্লি পুলিশে মোতায়েন করতে হবে ও দিল্লিতে ৪৫টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট নির্মাণ করতে হবে।''
দিল্লি পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে তারা প্রতিবাদ ও অনশনের দাবিকে অগ্রাহ্য করছে না। যদিও পরিকল্পিত অনশনের বিস্তারিত বিবরণ চাওয়া হয়েছে।
Hyderabad rape-murder: শহরে পড়ুয়াদের প্রতিবাদ মিছিল
স্বাতী মালিওয়াল তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে যে ছবি পোস্ট করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, দিল্লি পুলিশ রাতারাতি অনশনের পরিকল্পিত স্থানে ব্যারিকেড গঠন করেছে।
স্বাতী তাঁর টুইটে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানাচ্ছেন, ‘‘এদেশে কোনও মহিলা কি শান্তিতে অনশন করতে পারেন না? কেন্দ্রীয় সরকারের ভয়টা কোথায়? পুলিশ ও কেন্দ্র যতই চেষ্টা করুক আমার আমরণ অনশন চলছে। কেন্দ্র যতদিন না কোনও সিস্টেম তৈরি করছে আমি অনশন করব।''
১৭ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল তাঁরই বাবার বিরুদ্ধে!
রাজঘাটে যাওয়ার পর এদিন স্বাতী জানান, ‘‘দেশের সর্বত্র ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। শেষবার আমরা ১০ দিনের জন্য প্রতিবাদ করেছিলাম। এবং তখন প্রধানমন্ত্রী মোদি একটি নিয়ম প্রণয়ন করেন যে, ধর্ষককে ৬ মাসের মধ্যে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত একজনকেও এভাবে শাস্তি দেওয়া হয়নি।''
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমি আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে যন্তরমন্তরে অনশনে বসব। যতক্ষণ না কেন্দ্রের তরফে আশ্বাস দেওয়া হবে যে, ধর্ষকদের ৬ মাসের মধ্যে ফাঁসি দেওয়া হবে আমি উঠব না।''
গত সপ্তাহে হায়দরাবাদের এক পশু চিকিৎসক তরুণীকে চার যুবক গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে দেয়। এই মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদেরই অংশ হিসেবে আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত স্বাতী মালিওয়ালের।