This Article is From Feb 01, 2019

বাজেটের নামে ইস্তেহার পেশ করেছে বিজেপিঃমমতা

দেশে আর্থিক জরুরি  অবস্থা চলছে। ওঁরা  আর ক্ষমতায় থাকবে না ।  মরে গেলে ওষুধ দিয়ে গিয়ে। এতদিন কৃষকদের জন্য  কিছু করেনি। আমরা আগেই করেছিঃ মমতা।

বাজেটের নামে ইস্তেহার পেশ করেছে বিজেপিঃমমতা

হাইলাইটস

  • এনডিএ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটকে একহাত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
  • এই সরকারের হাতে মাত্র এক মাস সময় আছেঃ মমতা
  • নোটবন্দি, জিএসটির পর দেশে আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছেঃ মমতা
কলকাতা:

এনডিএ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটকে একহাত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,  আমার মনে  হয় এটা  এক্সপায়ারি বাজেট, এই বাজেট কোনও কাজে  লাগবে না । এই সরকারের হাতে এক মাস সময় আছে।  আমি এর আগেও লোকসভায় বাজেট পেশ দেখেছি। রেলমন্ত্রী হিসেবে বাজেট পেশও করেছি । সেখান থেকেই বলছি,  দেশে আর্থিক জরুরি  অবস্থা চলছে। বিজেপিআর ক্ষমতায় থাকবে না।  মরে গেলে ওষুধ দিয়ে লাভ কী ! ওঁরা এতদিন কিছু করেনি এখন সেই চেষ্টাই করছে। এতদিন কৃষকদের জন্য  কিছু করেনি। আমরা আগেই করেছি। বড় বড় ছবি দিয়ে  প্রচার করছে। কৃষকদের সাহায্যের নামে প্রতারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আজ বিজেপি ক্ষমতায় আছে কিন্তু কাল থাকবে না। যুক্ত রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে দিচ্ছে।  রাজ্যের কাজকে বিজেপির নিজের নামে চলছে। আমরা আগেও বলেছি আয়ুষ্মান   ভারত প্রকল্পে অংশ নেব না। কারণ আমাদের  স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প আছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ছবি পাঠিয়ে প্রচার হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। গুজবে কান দেবেন না।প্রধানমন্ত্রীর নাম না করে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী  বলেন, কেন্দ্র সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছে, এটা পারে না। কেন্দ্র এমন একটা ভাব করছে যেন রাজ্য কাজ করছে না। মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, এখন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে  ডেমক্রেসির ডি নেই কিন্তু  এমারজেন্সি  ই আছে। এটা বাজেট নয় বিজেপির ইস্তেহার। তাঁর প্রশ্ন  ঘোষণা তো হল কার্যকর কখন হবে। আর টাকাই আসবে  কোথা থেকে। 

অন্যদিকে  মুখ্যমন্ত্রী  বলেন বাজেটের বিরোধিতা করলাম এবার আমায় গ্রেফতার করতে  পারে তাতে আমার কিছু বলার নেই। কাকে কাকে নোটিশ দেবে? আমাদের ক'বার নোটিশ দেবে দেখতে চাই। মনে হয় আমার  খাবার যিনি বানিয়ে দেন তাঁকেও নোটিশ পাঠাবে। কিন্তু আমি  বলছি, আমাদের মতো সততা নিয়ে কেউ রাজনীতি  করে না।

মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করেন ৫৯ মিনিটের ঋণ দেওয়ার যে কথা  বলছে  কেন্দ্রীয়  সরকার সেটা আসলে একটা বড়  দুর্নীতি।

                                                                                                                                                   

.