Read in English
This Article is From Feb 01, 2020

Budget 2020: ৫টি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে বিশেষ সংগ্রহশালা তৈরির ঘোষণা

Union Budget 2020: ওই ৫টি স্থান হল হরিয়ানার রাখিগরহি, উত্তরপ্রদেশের হস্তিনাপুর, অসমের শিবাসাগর, গুজরাটের ধোলাভিরা এবং তামিলনাড়ুর আদিচানাল্লুর

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Rakhigarhi হরপ্পা সভ্যতার ৫ টি বৃহত্তম জনপদের মধ্যে অন্যতম

Highlights

  • দেশের ৫ টি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে গড়ে তোলা হবে বিশেষ সংগ্রহশালা
  • পর্যটকদের আকর্ষণ করতেই ওই জায়গাগুলির উন্নয়নের ভাবনা
  • হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, অসম, গুজরাট এবং তামিলনাড়ুতে অবস্থিত ওই স্থানগুলি
নয়া দিল্লি:

শনিবার সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট (Budget 2020) পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বিভিন্ন বিষয়ে নজর দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর নজর এড়াল না প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলিও (Archaeological Sites)। দেশের ৫ টি রাজ্যের ৫ টি উল্লেখযোগ্য প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে বিশেষ সংগ্রহশালা তৈরির ঘোষণা করলেন তিনি (Nirmala Sitharaman)।ওই ৫টি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হল হরিয়ানার রাখিগরহি, উত্তরপ্রদেশের হস্তিনাপুর, অসমের শিবাসাগর, গুজরাটের ধোলাভিরা এবং তামিলনাড়ুর আদিচানাল্লুর।

রাখিগরহি, হরিয়ানা:

এটি ভারতের হরপ্পা সভ্যতার পাঁচটি বৃহত্তম জনপদের মধ্যে অন্যতম হিসাবে পরিচিত। অন্য চারটির মধ্যে তিনটি হরপ্পা, মহেঞ্জোদরো এবং গাভেরিওয়ালা বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থিত। পঞ্চম স্থান, ধোলাভিরা গুজরাটে রয়েছে এবং এটির দিকে তাই আলাদা করে নজর দেওয়া হয়েছে বর্তমান বাজেটে। 

হরিয়ানা সরকারের মতে, খননকার্যের ফলে একটা গোটা হরপ্পা সভ্যতা আবিষ্কার হয়েছিল। এর মধ্যে যেমন ছিল অত্যাধুনিক নিকাশী ব্যবস্থা, তেমনই ছিল কাদা-ইট এবং পোড়া-ইট দিয়ে তৈরি সুপরিকল্পিত ঘর, যেখানে বসতি বা জনপদ গড়ে উঠেছিল।

Advertisement

Union Budget: নাগরিক অপরাধকে বৈধ করার লক্ষ্যে সংশোধন করা হবে Companies Act


উত্তরপ্রদেশের হস্তিনাপুর:

Advertisement

এই জায়গাটি নিয়েই কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়, মহাভারতে সেই ভয়াবহ যুদ্ধকে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ বলে বর্ণনা করা হয়। মীরাটের কাছেই অবস্থিত এই হস্তিনাপুর। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, ওই অঞ্চলের কাছে যে গ্রামের নিদর্শন পাওয়া গিয়েছিল, তা কমপক্ষে ২০০০ বছর আগে ছিল। সেই বসতিও যথেষ্ট উন্নত ছিল।

অসমের শিবাসাগর:

Advertisement

১৬৯৯ থেকে ১৭৮৮ সাল পর্যন্ত প্রায় এক শতাব্দী ধরে শিবাসাগর অঞ্চলটি আহোম রাজাদের রাজধানী ছিল এবং এই রাজ্যের কয়েকটি বড় ঐতিহাসিক ঘটনাও ঘটেছিল। এখানে রং ঘর, তালাতল ঘর, নামডাঙ স্টোন ব্রিজ, রুদ্রসাগর ট্যাঙ্ক এবং মন্দির রয়েছে। এছাড়া শিবাসাগররের পুখুরিথারা সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কিছু ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ রয়েছে।

Budget 2020: শিক্ষাখাতে ৯৯,৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল মোদি সরকার, আসছে নয়া শিক্ষা নীতিও

Advertisement

গুজরাটে ধোলাভিরা:

একটি স্থানীয় গ্রামের নাম অনুসারে নামকরণ হয়েছে ধোলাভিরা। ভারতে অবস্থিত দুটি হরপ্পা শহরের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। বলা হয়ে থাকে যে এই শহরটি প্রায় ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বের স্থান, এখানে খ্রিস্টপূর্ব  ১৮০০ সাল থেকে প্রায় ১,২০০ বছর সময় জুড়ে জনবসতি ছিল। ১৯৬৭  সালে আবিষ্কৃত এই স্থানটিতে ইতিহাসের খোঁজে ১৯৯০ সাল থেকে পরিকল্পিতভাবে খনন করা শুরু হয় । এখানে সিন্ধু উপত্যকার লিপিতে খোদাই করা ১০ টি বড় পাথরের শিলালিপি পাওয়া গেছে যা বিশ্বের প্রথম সাইনবোর্ড হিসাবে মনে করা হয়। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান এই শহরের বাসিন্দারা পুরনো জীবনযাত্রা ত্যাগ করে ধীরে ধীরে একটি আধুনিক জীবনযাত্রায় চলে আসেন।

Advertisement

তামিলনাড়ুর আদিচানাল্লুর:

থুথুকুডি জেলার এই খনন স্থানে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলি দেখে মনে হয় এটি প্রাচীন তামিল সভ্যতার অঙ্গ ছিল। বিজ্ঞানীদের মতে, নিদর্শনগুলি খ্রিস্টপূর্ব ৯০৫ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৬৯৬ সালের মধ্যেকার। এই জায়গাটিকেও সংগ্রহশালা হিসাবে গড়ে তোলার ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে।

Advertisement