কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ 9Rajnath Singh) শুক্রবার জানালেন, ভারত প্রথম পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের পক্ষে নয়।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh) শুক্রবার জানালেন, ভারত প্রথম পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের পক্ষে নয়। পাশাপাশি তিনি (Rajnath Singh) জানাচ্ছেন, ‘‘ভবিষ্যতে কী হবে তা নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপরে।'' একথা আজ রাজস্থানের পোখরানে (Pokhran) জানালেন তিনি। প্রসঙ্গত, ভারতের দু'টি পরমাণু পরীক্ষা এই পোখরানেই হয়েছিল। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘‘ভারতকে পারমাণবিক শক্তিশালী করে তোলা আমাদের দৃঢ় সংকল্প ছিল এবং এখনও আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ‘নো ফার্স্ট ইউজ' সম্পর্কে। এটাই সত্যি এখনও পর্যন্ত। ভারত এই নীতির প্রবল সমর্থক। ভবিষ্যতে কী হবে তা নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপরে।'' এক আর্মি স্কাউটস-মাস্টার প্রতিযোগিতার সমাপ্তি অধিবেশনে এসে এই কথা জানান রাজনাথ।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের সময় এই কথা বলেন তিনি। ১৯৭৪ ও ১৯৯৮ সালে ভারত এখানে পরমাণু পরীক্ষা করেছিল। পোখরান-২ হয়েছিল বাজপেয়ীর তৎকালীন বিজেপি সরকারের আমলে।
কিছুদিনের মধ্যেই নিষেধাজ্ঞা উঠতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীর থেকে
ভারতকে পরমাণু শক্তিধর করে তুলতে চেয়েছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী, একথা স্মরণ করিয়ে রাজনাথ বলেন, ভারত এখনও ‘নো ফার্স্ট ইউজ'-এর পক্ষে।
রাজনাথের এদিনের মন্তব্যকে অনেকেই পাকিস্তানের প্রতি প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি হিসেবেই দেখছেন। জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করে তাকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার বিল লোকসভায় পাস হওয়ার পর পাকিস্তান ও ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার কাশ্মীর নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনা করবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ
ভারত বারবার জানিয়েছে, এটা দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে অন্য কোনও দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। কিন্তু পাকিস্তান এরই মধ্যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে এই নিয়ে হস্তক্ষেপের জন্য আবেদন জানিয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কে আরও অবনতি হয়েছে। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ৪০ জন সেনা শহিদ হন।
ক'দিনের মধ্যেই পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে বোমাবর্ষণ করে ভারত। তারপর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে আরও অবনতি হয়েছে।