This Article is From Dec 17, 2019

‘‘যা কিছুই হোক না কেন’’: নাগরিকত্ব আইন নিয়ে পিছু হটবেন না, জানালেন অমিত শাহ

দেশজুড়ে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের (CAA) বিরুদ্ধে যতই আন্দোলন গড়ে উঠুক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে দিলেন তাঁরা এবিষয়ে আর পিছু হটতে রাজি নন।

‘‘যা কিছুই হোক না কেন’’: নাগরিকত্ব আইন নিয়ে পিছু হটবেন না, জানালেন অমিত শাহ

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্র পিছু হটবে না, জানালেন অমিত শাহ।

হাইলাইটস

  • অমিত শাহ জানিয়ে দিলেন, বিজেপি সরকার নাগরিক আইন নিয়ে পিছু হটবে না
  • দেশের বহু অঞ্চলে এই আইনের বিরোধিতা করে প্রতিবাদ হচ্ছে
  • অমিত শাহ বলেন, এই আইন বলবৎ করতে যা করা দরকার করবে কেন্দ্র
নয়াদিল্লি:

দেশজুড়ে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের (CAA) বিরুদ্ধে যতই আন্দোলন গড়ে উঠুক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) মঙ্গলবার জানিয়ে দিলেন তাঁরা এবিষয়ে আর পিছু হটতে রাজি নন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের নিপীড়িত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য যা করা দরকার সবই করবে কেন্দ্র। দিল্লির দ্বারকায় এক জনসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘যা কিছুই হোক না কেন, মোদি সরকার এই শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া ও ভারতীয় হিসেবে গর্বিত হয়ে বেঁচে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।''

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে ২০১৪, ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে এদেশে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই আইনের বিরোধিতা করেছে বিরোধী দলগুলি এবং সমাজকর্মীরা। তাদের দাবি, এই আইন ধর্মীয় বৈষম্যমূলক। উত্তর-পূর্বের অভিযোগ, এই আইন তাদের অঞ্চলে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য দরজা খুলে দেবে।

এই আইনের প্রতিবাদ প্রথমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দেখা গেলেও পশ্চিমবঙ্গেও এই আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও এই আইনের বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের থামাতে সহিংস ভূমিকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

বিরোধী কংগ্রেস এই আইন সম্পর্কে মানুষের মনে ভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, এই অভিযোগ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি পড়ুয়া এবং মুসলিম ভাইবোনদের বলতে চাই, ভয়ের কিছু নেই। কেউ ভারতীয় নাগরিকত্ব হারাবেন না। এই আইন ওয়েবসাইটে রয়েছে সকলের পড়ার জন্য। আমরা বিশ্বাস করি ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ'। কারও সঙ্গে অন্যায় হবে না।''

অমিত শাহ বলেন, এই আইনের উদ্দেশ্য পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে যে অমুসলিম সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় বৈষম্যেক শিকার হচ্ছেন, তাঁদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া। তিনি সেই সব দেশে থাকা শরণার্থীদের জীবনযাপনের বিষয়ে খোঁজখবর করতে বলেন বিরোধীদের। তিনি বলেন, ‘‘যদিও এই মানুষগুলিকে পাকিস্তানের সুরক্ষা দেওয়ার কথা নেহরু-লিয়াকত চুক্তি মেনে। কিন্তু তা হয়নি। কোথায় যাবে এই শরণার্থীরা— হিন্দু, শিখ ও অন্য সংখ্যালঘুরা, ভারত ছাড়া?''

ঝাড়খণ্ডে এক নির্বাচনি সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমি কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীদের খোলা চ্যালেঞ্জ দিতে চাই”। তিনি আরও বলেন, “যদি তাদের সেই সাহস থাকে, তাদের খোলাখুলি ঘোষণা করা উচিত, প্রত্যেক পাকিস্তানিকেই ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে প্রস্তুত তারা। তারপর দেশই তার প্রতিদান দেবে... শুধু তাই নয়। যদি তাদের সেই ইচ্ছে থাকে, তাহলে তারা জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনবে, যা নরেন্দ্র মোদি প্রত্যাহার করেছে।”

.