This Article is From Dec 19, 2019

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ নিয়ে বৈঠক করবেন অমিত শাহ

বৃহস্পতিবার দিল্লি ও বেঙ্গালুরুতে কয়েকশো জনকে আটক করেছে পুলিশ এবং বেশ কিছু জায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ নিয়ে বৈঠক করবেন অমিত শাহ

Citizenship Act protests: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বৈঠক করবেন অমিত শাহ

নয়াদিল্লি:

নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship (Amendment) Act) বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পর্যালোচনা বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), এমনটাই জানিয়েছেন আধিকারিকরা। বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেই বৈঠকেই দেশজুড়ে তৈরি হওয়া উত্তেজনা নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দিল্লি ও বেঙ্গালুরুতে কয়েকশো জনকে আটক করেছে পুলিশ এবং নাগরিকত্ব আইনের বিক্ষোভ দ্বিতীয় সপ্তাহে পড়ায়, এবার বেশ কিছু জায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা, বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এই আইন ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের পরিপন্থী।

গত সপ্তাহে হিংসাত্মক বিক্ষোভ মাথায় রেখে, উত্তর প্রদেশ ও কর্নাটকের পাশাপাশি দেশের  রাজধানীর বেশ কিছু জায়গায় প্রকাশ্য জমায়েত বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দিল্লি ও হরিয়ানার সীমানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

নিষিদ্ধ করা নিয়ে, দিল্লির লালকেল্লা ও বেঙ্গালুরুর টাউন হলে বিক্ষোভের উদ্যোগ নেয়, তবে তারমধ্যেই পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলে।

বেঙ্গালুরুতে অন্যান্য অধ্যাপকদের সঙ্গেই আটক করা হয় ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহকে।

পুলিশের হাতে আটক হওয়ার আগে ডঃ রামচন্দ্র গুহ বলেন, “আমি অহিংস আন্দোলন করছিলাম, অথচ দেখুন তারা আমাদের প্রতিবাদ করতে দিচ্ছে না”।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা শহরে প্রায় ২০০ জনতে আটক করেছে, বৃহস্পতিবার শহরে প্রায় চারটি বিক্ষোভ সমাবেশে প্রায় হাজারখানেক মানুষের জমায়েত হয় বলে বিক্ষোভকারীদের দাবি।  

লালকেল্লার বিক্ষোভে, পুলিশ যে ১০০ জনকে আটক করেছে বলে দাবি করেছে, তারমধ্যে রয়েছেন শিক্ষাবিদ তথা রাজনীতিবিদ যোগেন্দ্র যাদব।

২০১৫ এর আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা অমুসলিম নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্বের পথ সহজ করা হয়েছে নয়া নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে।

এই আইনের বিরোধীদের দাবি, নয়া আইন থেকে মুসলিমদের বাদ দেওয়া পক্ষপাতমূলক, যা ভারতের জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ, এবং এই পদক্ষেপে তারা আরও সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে।

.