हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Jan 28, 2019

বিরোধী নেতার মুসলিম স্ত্রীকে আক্রমণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, কী বললেন

কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দিনেশ গুণ্ডু রাওকে আক্রমণ করেন অনন্তকুমার হেগড়ে। এর আগে হেগড়ের বিতর্কিত মন্তব্যের নিন্দা করেছিলেন দীনেশ গুণ্ডুরাও।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

Highlights

  • কংগ্রেস নেতা দিনেশ গুণ্ডু রাওয়ের স্ত্রী সম্পর্কে মন্তব্য করেন অনন্ত কুমার
  • রবিবার হেগড়ে বলেন, “হিন্দু মেয়েদের যে হাত ছোঁবে, সেই হাত থাকা উচিত নয়”।
  • অনন্ত কুমারের এই ধরণের অধঃপতনের জন্য দুঃখ লাগে: দিনেশ গুণ্ডু রাও
কোডাগু/বেঙ্গালুরু:

উস্কানিমূলক মন্তব্য করে ইতিমধ্যেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অনন্তকুমার হেগড়ে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বিতর্কিত ট্যুইট করে বসলেন তিনি। রবিবার একটি  জনসভায় তিনি বলেন, হিন্দু মেয়েদের গায়ে হাত দিলে সেই হাত থাকাই উচিত নয়। সোমবার সকালে কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতার মুসলিম স্ত্রীর প্রসঙ্গ তুলে আক্রমণ করেন ফের বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়ে।

কর্ণাণটকের একটি জনসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্তকুমার হেগড়ে বলে বসেন, “আমাদের সমাজ নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা উচিত, জাতপাত নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত নয়, যদি কোনও হিন্দু মেয়ের গায়ে কেউ হাত দেয়, সেই হাতটা থাকা উচিত নয়”।

স্বপ্ন পূরণ করতে না পারলে মানুষ জবাব দিতে পারে, মন্তব্য নিতিন গড়করির

Advertisement

জনসভায় দাঁড়িয়ে রবিবার তিনি আরও বলেন, “মুসলিমদের হাতে তাজমহল তৈরি হয় নি, নিশ্চিতভাবেই এটা মুসলিমদের হাতে তৈরি নয়, ইতিহাস তাই বলে। শাহজাহান তাঁর জীবকাহিনীতে বলেছেন, রাজা জয়সীমার থেকে তিনি এই অট্টালিকাটি এনেছিলেন, রাজা পরমাতীর্থ এবং তেজোমহালয়ের তৈরি শিবমন্দির ছিল এটি, পরে তেজোমহালয় থেকে এটির নাম তাজমহল হয়ে যায়। আমরা যদি ঘুমিয়ে থাকি, তাহলে আমাদের বাড়িগুলির নাম হয়ে যাবে মঞ্জিল। ভবিষ্যতে ভগবান রামচন্দ্র হয়ে যাবেন, জাহাপনা, এবং সীতাকে বলা হবে বিবি”।

এনআরসি নিয়ে টুইটারে তরজায় জড়ালেন রাহুল গান্ধী ও হিমন্ত বিশ্বশর্মা

Advertisement

কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দিনেশ গুণ্ডু রাও। অনন্ত কুমার হেগড়ের এই বিতর্কিত মন্তব্যকে তিনি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, “কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বা সাংসদ হওয়ার পর আপনি কী করেছেন ? কর্ণাটকের উন্নয়নে আপনার আবদান কী ? আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, এই ধরণের লোকের নির্বাচনে জিতে সাংসদ এবং মন্ত্রী হওয়া দুঃখজনক”।

 

এর জবাবে গুণ্ডু রাওয়ের স্ত্রী টাবু রাওয়ের প্রসঙ্গ তুলে আক্রমণ করেন অনন্ত কুমার হেগড়ে। ট্যুইট করে তার পাল্টা জবাব দেন গাণ্ডু রাও। সেখানে তিনি লেখেন, “অনন্তকুমার হেগড়েকে এরকম কদর্যপূর্ণ ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে দেখে দুঃখ লাগে। মনে হয়, এটা তাঁর সংষ্কৃতির অভাব, আমাদের হিন্দু ধর্মগ্রন্থ থেকে তিনি কোনও শিক্ষা নিতে পারে নি বলে মনে হয়। তবে সময় চলে যায় নি, তিনি চেষ্টা করলে এখনও একজন সম্মানীয় ব্যক্তি হয়ে উঠতে পারেন”।

Advertisement

কংগ্রেসের পোস্টারে প্রিয়াঙ্কাই ঝাঁসি রানি! পেলেন গোরক্ষপুর কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ার প্রস্তাব

বারবার বিতর্কিত এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছে অনন্তকুমার হেগড়ে। ২০১৭ –এ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পরেও তা বদলায় নি। গত মাসেই শবরীমালা মন্দির নিয়ে কেরালা সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে বিষয়টিকে প্রকাশ্য দিবালোকে হিন্দু ধর্মের ধর্ষণ বলে মন্তব্য করেছিলেন।

Advertisement

২০১৪ থেকে মোদির উপহার পাওয়া পাগড়ি, শাল, জ্যাকেট নিলামে বিকোচ্ছে দিল্লিতে

গত বছর কর্ণাটকের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় তাঁর কনভয় আটকায় বিক্ষোভরত দলিতরা।সেই সময় বিক্ষোভকারীদের “রাস্তায় চিৎকার করা কুকুর” বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।কয়েকমাস পর ফের বিরোধীদের “কাক, বাঁদর,শিয়াল, এবং অন্যান্য পশু”দের সঙ্গে তুলনা করে বলেছিলেন, তারা এক হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নামক বাঘের সঙ্গে লড়াই করতে। অনন্ত কুমার হেগড়ের ভাষা সংযত করতে বলেছিল বিজেপিরই জোটসঙ্গী জনতা দল ইউনাইটেড(জেডিইউ)।

Advertisement

২০১৭-এ সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি বাদ দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন অনন্ত কুমার হেগড়। সেবছরই তাঁর মায়ের চিকিৎসায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় এক চিকিৎসককে চড় মারতে দেখা গিয়েছিল অনন্ত কুমার হেগড়েকে।

Advertisement