This Article is From Jun 12, 2019

রাজ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছেন মমতা দাবি বাবুলের

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মেয়াদ আরও দু'বছর বাকি। কিন্তু বাবুল মনে করেন ২০২১ পর্যন্ত এই সরকার টিকবে না।

রাজ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছেন মমতা দাবি বাবুলের

পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্র

হাইলাইটস

  • মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছেনঃ বাবুল
  • দলীয় কর্মী এবং পুলিশকে দিয়েও একই কাজ করাচ্ছেন তিনিঃ বাবুল
  • ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে তৃণমূল সরকারঃ বাবুল
আসানসোল:

রাজ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের  (Political Violence) প্রশ্নে আরও  একবার মুখ্যমন্ত্রীর  সমালোচনায় সরব হলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) । সংবাদ সংস্থা এএনআইকে আসানসোলের (Asansol Loksabha Constituency) সাংসদ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Bannerjee) নিজে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছেন। শুধু তাই নয় দলীয় কর্মী এবং পুলিশকে দিয়েও একই কাজ করাচ্ছেন তিনি। ক্ষমতায় থাকার সমস্ত নৈতিক অধিকার  হারিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।' পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মেয়াদ আরও দু'বছর বাকি। কিন্তু বাবুল মনে করেন ২০২১ পর্যন্ত এই সরকার টিকবে না।  অন্য একটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলার  সামগ্রিক পরিস্থিতির জন্য গোটা দেশ তথা বিশ্বের কাছে বাঙালির মাথা লজ্জায় নিচু হয়ে গিয়েছে।' 

মমতার নেতৃত্বে “মিনি পাকিস্তান” হয়ে গেছে বাংলা, বলল জেডিউ

এদিকে মঙ্গলবার বিজেপি নেতা মুকুল রায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি লিখেছেন। তাতে মুকুলের দাবি বাংলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং মানুষের জীবন সুরক্ষিত করতে যা যা করা দরকার তা করুক কেন্দ্রীয় সরকার। নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরও নতুন করে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। উত্তর চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালিতেই বেশ কয়ক জনের মৃত্যু হয়েছে।

এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্র। নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেও কেন এত সংঘর্ষ হচ্ছে তা নিয়ে চিন্তিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এরপরই মন্ত্রকের তরফ একটি ‘পরামর্শ বার্তা' রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়। তাতে লেখা হয়েছে গত কয়েক সপ্তাহে যে সন্ত্রাস হচ্ছে সেগুলি দেখে মনে হচ্ছে আইন বলবৎ করা দায়িত্বে যে সমস্ত সংস্থা রয়েছে তারা নিজেদের কাজ ঠিক করে করতে পারছে না। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখতে তারা ব্যর্থ। 

অর্থনীতির দিক থেকে খারাপ পরিস্থিতি নয় বাংলার: মমতা

মোদী সরকারের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রাজ্যের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল নির্বাচনের পর কয়েকটি বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে-র লেখা চিঠিতে দাবি করা হয়েছে প্রত্যেকটি সংঘর্ষের ঘটনায় রাজ্য সরকার দ্রুত এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম ব্যবস্থা করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর কিছু সমাজবিরোধী কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা  নিয়ন্ত্রণের ভার যাদের হাতে তারা অত্যন্ত কঠোর ভাবে পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছেন। বিন্দুমাত্র দেরি না করে উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর তাই এমন ভাবার কোনও পরিস্থিতি নেই যে রাজ্য প্রশাসন এবং আইন নিয়ন্ত্রণের ভার যাদের হাতে রয়েছে তারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ।  পাশাপাশি তিনি দাবি করেন সাধারণ মানুষও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে না। এরপরও আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে শাসক এবং বিরোধীদের তরজা অব্যহত।       

.