কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে পড়ুয়াদের একাংশের বিরুদ্ধে।
কলকাতা: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) গেলে, সেখানে তাঁকে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে পড়ুয়াদের একাংশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বাবুল এই ঘটনার নিন্দা করে টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, যারা তাঁকে হেনস্থা করেছে তাদের মানসিক পুনর্বাসন দেওয়া হবে। তিনি তাঁর টুইটে আক্রমণকারীদের ‘‘কাপুরুষ'' বলেন। জানান, ‘‘চিন্তা নেই, তোমাদের সঙ্গে সেই ব্যবহার করা হবে না যেটা তোমরা আমার সঙ্গে করেছ।'' অভিযোগ, ৪৮ বছরের বাবুল সুপ্রিয় বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে তাঁকে নিগ্রহ করা হয়। তাঁর শার্ট ছিঁড়ে দেওয়ার পাশাপাশি চুল ধরেও টানা হয়।
বাবুল ওইদিন বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওখানে গিয়েছিলেন। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে বাবুলকে আক্রমণ করা হচ্ছে। তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হচ্ছে এবং শার্ট ছিঁড়ে দেওয়া হচ্ছে। বাবুল অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ‘‘ওরা আমার চুল ধরে টেনেছে ও ধাক্কা দিয়েছে।''
‘‘শার্ট ছিঁড়েছে, চুল ধরে টেনেছে'': যাদবপুরের নিগ্রহ প্রসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাইরে বের করে নিয়ে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে ছুটে যান তিনি। ঘটনাকে কেন্দ্র তৈরি করে বঙ্গ রাজনীতিতে তৈরি হয় বিতর্ক। রাজ্যপাল মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রতিকূল চেহারাই এতে প্রতিফলিত হচ্ছে।'' তৃণমূল কংগ্রেস এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জানায়, রাজ্যপাল এই ঘটনায় রাজনৈতিক মন্তব্য করছেন।
যাদবপুরে প্রবল বিক্ষোভের সামনে বাবুল সুপ্রিয়, উঠল ‘‘গো ব্যাক'' ধ্বনি
বাবুল তাঁর একাধিক টুইটের একটিতে জানান, ‘‘আমরা তোমাদের মানসিক পুনর্বাসন দেব যাতে তোমরা ও তোমাদের হুলিগান বন্ধুরা (সমস্ত ফুটেজ মিডিয়া থেকে পাওয়া) ঠিক তেমনই ব্যবহার করতে পার, যেমনটা ছাত্রদের করা উচিত।''
তিনি এও দাবি করেন, যারা এর সঙ্গে যুক্ত তাদের খুঁজে বের করা হবে।
তিনি এও বলেন, একজন তাঁকে চুল ধরে টানছিল, তার বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস কী ব্যবস্থা নেবে। বরাবরই মমতা সরকারের প্রবল সমালোচক বাবুল লোকসভা নির্বাচনে মুনমুন সেনকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবারের ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের মতো বিজেপি নেতারা।