বাবুলের অভিযোগ, পড়ুয়ারা তাঁকে নিগ্রহ করেছে এবং তাঁর চুল ধরেও টেনেছে।
নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo) কালো পতাকা দেখানো ও নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) কয়েকজন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিজেপির ছাত্র শাখা এবিভিপি (ABVP) বা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের একটি সেমিনারে যোগ দিতে এসেছিলেন বাবুল। তাঁকে প্রথমে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। দু'টি বাম ছাত্র সংগঠন আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ও স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার ছাত্রছাত্রীরা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাবুলকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়নি।। তারা ‘‘বাবুল সুপ্রিয় গো ব্যাক'' ধ্বনিও দিচ্ছিল। পরে বিকেল পাঁচটা নাগাদ আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ছাড়ার সময় আবারও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তাঁর অভিযোগ, পড়ুয়ারা তাঁকে নিগ্রহ করে। এমনকী তাঁর চুল ধরেও টানে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বাবুল বলেন, ‘‘আমি এখানে রাজনীতি করতে আসিনি। কিন্তু আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রছাত্রীর আচরণে দুঃখিত, যেভাবে তাড়া আমাকে নিগ্রহ করেছে। আমাকে ধাক্কা মারা হয়, চুল ধরেও টানা হয়েছে।''
রাজীব কুমারের সন্ধানে তল্লাশি সিবিআইয়ের, শুক্রবার হাজিরার নির্দেশ
বাবুল আরও দাবি করেন, প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে উত্যক্ত করার জন্য নিজেদের ‘নকশাল' বলে পরিচয় দিচ্ছিল।
বাবুল সুপ্রিয় গাড়িতে উঠতে গেলেও তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর সুরঞ্জন দাস প্রতিবাদী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের মুখ থেকে সরতে নারাজ ছিল।
পরে বাবুল তাঁর টুইটার হ্যান্ডল থেকে টুইট করে জানান, ‘‘ওরা যাই করতে চাক না কেন, আমাকে উত্তেজিত করতে পারেনি। গণতন্ত্রে বিরোধীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন মত ধৈর্য ধরে শোনা দরকার।'' তিনি পরিস্থিতিকে ‘‘চাপা পড়ে যাওয়ার মতো'' বলেও বর্ণনা করেন।
রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বিষয়টিকে ‘‘অত্যন্ত গুরুতর'' বলে জানান। তাঁর সংবাদ মাধ্যম সচিব সাংবাদিকদের জানান, রাজ্যপাল এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে কথা বলবেন।
তিনি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এভাবে ঘেরাও করাটা অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রতিকূল চেহারাই এতে প্রতিফলিত হচ্ছে।''
মুখ্য সচিব মলয় দাস রাজ্যপালকে নিশ্চিত করেন যে, শহরের পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত রাজ্যপাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর।