This Article is From Jul 04, 2020

চিনকে শায়েস্তা করতে প্রয়োজনে কিছু নিয়মের পরিবর্তন আনা হোক: নীতিন গডকড়ি

Nitin Gadkari: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনে করেন, দেশের পুরনো কিছু নিয়মের ফলেই চিনা সংস্থাগুলি সহায়তা পেয়েছে, জাতীয় স্বার্থে এগুলোকে বদলানো উচিত

India-China Face Off: দেশীয় সংস্থাগুলোর ক্ষমতা আছে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার, বলেন নীতিন গডকড়ি

হাইলাইটস

  • চিনের বিরুদ্ধে নেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন করলেন গডকড়ি
  • "দেশের নিয়মে কিছু বদল আনতে হবে যাতে ভারতীয় সংস্থাগুলো সাহায্য পায়"
  • দেশীয় সংস্থাগুলোর শক্তি বাড়িয়ে আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিই জোর দেন তিনি
নয়া দিল্লি:

দেশের পুরনো কিছু নিয়মের ফলেই চিনা সংস্থাগুলি ভারতে (India) ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সহায়তা পেয়েছে, জাতীয় স্বার্থে এবার এগুলোকে বদলানো উচিত, এমনটাই মনে করেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি। তিনি (Nitin Gadkari) মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় স্বার্থেই এই নিয়মগুলোর পর্যালোচনা করে এমন কিছু করা উচিত যাতে এর থেকে উপকৃত হয় ভারতীয় সংস্থাগুলো। পাশাপাশি, চিনের (China) বিরুদ্ধে সরকারের নেওয়া সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলিকেও সমর্থন করেন গড়কড়ি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি ঘোষণা করেন যে, এবার থেকে ভারতে সড়ক নির্মাণের কোনও কাজের বরাত পাবে না চিনা সংস্থাগুলো। এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি বলেন, এখন এমন কিছু করা দরকার যাতে ভারতীয় উদ্যোক্তা এবং ঠিকাদাররা উৎসাহ পান।

চাইনিজ অ্যাপ নিষিদ্ধ করে "ডিজিটাল স্ট্রাইক" করা হয়েছে: রবিশঙ্কর প্রসাদ

এদিকে দেশের বিদ্যুৎমন্ত্রকও শুক্রবার ঘোষণা করে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিনা অনুমতিতে বিদ্যুৎ শিল্পে কোনও যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ চিন থেকে আমদানি করা যাবে না। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স মারফত একটি বৈঠকে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী রাজ কুমার সিং বলেন, বিদ্যুৎ শিল্পের প্রায় সব সরঞ্জাম তৈরি হয় দেশে। তবু ২০১৮-১৯ সালে তা আমদানির অঙ্ক ৭১,০০০ কোটি টাকা। শুধু চিন থেকেই ২১,০০০ কোটি। তিনি কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, “যে দেশ আমাদের সীমান্ত পেরিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে, হত্যা করে সেনাদের, তাদের ভারতের মাটিতে কাজের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার দায় আমাদের নয়।…এবার থেকে আমদানি করা প্রতিটি যন্ত্র, যন্ত্রাংশের জন্য অনুমতি নিতে হবে। চিন ও পাকিস্তান থেকে আসা কোনও সামগ্রী আনাতে অনুমতি দেওয়া হবে না।” 

লাদাখে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেনার পাশে থাকার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

গত মাসে লাদাখে ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে এক কর্নেল সহ ২০ জন ভারতীয় সেনার প্রাণ যায়। এরপরেই দেশ জুড়ে চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে ৫৯ টি চাইনিজ অ্যাপ নিষিদ্ধ করারও ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ সবদিক থেকে চিনকে চাপে রাখার চেষ্টায় এখন ভারত।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গডকড়ি বলেন, "আত্মনির্ভর ভারতের চিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কোনও দরকার নেই। গোটা বিশ্বে আমাদের প্রভাব বাড়াতে হবে। এই সময়েই আমাদের প্রযুক্তিগত এবং বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলোকেও উৎসাহ দিতে হবে। আমদের সমস্ত প্রযুক্তিগত দক্ষতা আছে"। এই প্রসঙ্গে তিনি একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ দিয়ে বলেন, "দু'মাস আগেও আমাদের চিন থেকে বিশেষ বিমানের মাধ্যমে পিপিই কিট আমদানি করতে হয়েছিল। এখন দেখুন, আমাদের দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পসংস্থাগুলোই যথেষ্ট ভালো মানের কিট তৈরি করছে এবং আমরা প্রতিদিন ৫  লক্ষ কিট উৎপাদন করছি।"

শুক্রবারই ভারত-চিন সীমান্তে কর্তব্যরত দেশের সেনাবাহিনীকে উৎসাহিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লে-লাদাখে গেছিলেন। সেখান থেকে তিনি চিনের উদ্দেশে নাম না করেই কিছু কড়া বার্তাও দেন। তিনি বলেন, "আগ্রাসনের যুগ শেষ। এখন প্রগতির যুগ। আগ্রাসীরা শান্তি নষ্ট করে। জল, স্থল, এমনকী অন্তরীক্ষেও শক্তি বাড়িয়েছে ভারত। লাদাখ চক্রান্ত ব্যর্থ করেছে ভারতীয় সেনা।"

.