This Article is From Jan 28, 2019

নীতিন গড়করি কংগ্রেসকেই এই বার্তা দিয়েছেন, প্রতিক্রিয়া বিজেপির

দলীয় নেতৃত্ব, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে নীতিন গড়করির রহস্যপূর্ণ মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিল বিজেপি।

নীতিন গড়করি কংগ্রেসকেই এই বার্তা দিয়েছেন, প্রতিক্রিয়া বিজেপির
নিউ দিল্লি:

কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নীতিন গড়করির মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রচ্ছন্ন বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী, তারই জবাব দিল বিজেপি। বিজেপি নেতা জেভিএল নরসিমা রাও সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, নীতিন গড়করি এই মন্তব্য কংগ্রেসের উদ্দেশ্যেই করেছেন, তাঁর দল বিজেপির উদ্দেশ্যে নয়।

১৯৭০ সালে প্রচারের সময় ইন্দিরা গান্ধীর তোলা পরে সেই গরীবী হটাও শ্লোগানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিজেপি নেতা বলেন, “নীতিন গড়করির মন্তব্যকে ঘোরানো হচ্ছে, এবং তার থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা হচ্ছে, তিনি এই মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে, যারা গরীবী হঠাও শ্লোগান তুললেও, গরীবদের জন্য কিছুই করে নি এবং রাহুল গান্ধীর দিকে, যিনি ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দেন”।

স্বপ্ন পূরণ করতে না পারলে মানুষ জবাব দিতে পারে, মন্তব্য নিতিন গড়করির

বিজেপি নেতৃত্ব বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে নীতিন গড়করির এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের পরেই পাল্টা দিল বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যকে ইতিমধ্যেই হাতিয়ার করে ফেলেছে বিরোধীরা।

মুম্বইয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “রাজনীতিবিদরা অনবরত স্বপ্ন দেখান, কিন্তু তা যদি তাঁরা পূরণ করতে না পারেন, জনতা তাঁদের পেটাবে, সেই কারণে, রাখা যাবে, এরকম প্রতিশ্রুতিই দেওয়া উচিত"। রবিবার প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড চলাকালীন তাঁকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। সেই নীতিন গড়করি বলেন, “আমি তাঁদের মধ্যে নই, যাঁরা এরকম স্বপ্ন দেখান, আমি ১০০ শতাংশ দায়িত্ব নিয়ে বলি”।

বিরোধী নেতার মুসলিম স্ত্রীকে আক্রমণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, কী বললেন

নীতিন গড়করির মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ট্যুইট করেন অনেকেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লক্ষ্য করেই এই বার্তা, ট্যুইটে লেখেন অনেকেই।

 

মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের তরফে ট্যুইট করা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নীতিন গড়করি...মোদীজী জনগণ জাগছে”।

নীতিন গড়করি বলেন, “নেতাদের উচিত পরাজয় এবং ব্যর্থতার দায় নেওয়া, প্রতিষ্ঠানের প্রতি নেতত্বের সততা প্রমাণ হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁরা পরাজয়ের দায় নেবেন”।

প্যারেডের সঙ্গেই রাজপথের এই ঘটনার দিকে নজর ছিল গোটা দেশের

বিতর্ক ছড়িয়ে পড়তেই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অভিযোগ করেন, দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর “বিভাজন” তৈরি করার চেষ্টা করছে বিরোধী এবং একাংশ মিডিয়া।

ট্যুইটে তিনি লেখেন, “কয়েকদিন ধরেই আমি লক্ষ্য করছি, রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার এবং দলের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতে একটা নোংরা প্রচার চালাচ্ছে কিছু বিরোধী এবং একাংশ মিডিয়া”।

.