সিএএ'র বিরোধিতা করে ধর্নায় শাহিনবাগের প্রতিবাদীরা।
হাইলাইটস
- শাহিনবাগের প্রতিবাদিরা চেষ্টা করছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠকে নিয়ন্ত্রণ করতে
- সোমবার অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ
- ওদের সাহায্য করছেন রাহুল গান্ধি আর অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অভিযোগ মন্ত্রীর
নয়াদিল্লি: শাহিনবাগের (Shaheen Bagh) 'টুকরে টুকরে গ্যাং'-কে সাহায্য করছে কংগ্রেস সাংসদ (Rahul Gandhi) রাহুল গান্ধি এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। সোমবার এ ভাষাতেই ওই দুই রাজনীতিবিদকে দুষলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর (Ravi Shankar Prasad) অভিযোগ, "দিল্লিতে যারা শান্তিতে বাস করতে চান, সেই সংখ্যাগরিষ্ঠর অধিকার হনন করছেন শাহিনবাগের প্রতিবাদীরা।" দিল্লির ওই এলাকায় চলা সিএএ ও এনআরসি-বিরোধী আন্দোলনকে আক্রমণের নিশানা করে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "শাহিনবাগের কয়েকশো লোক চেষ্টা করছে সংখ্যাগরিষ্ঠ শান্তিকামী মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে। এটাই শাহিনবাগের আসল রূপ। যেটা গোটা দেশের সামনে তুলে ধরার সময় এসেছে। আর এ ব্যাপারে রাহুল গান্ধি এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল নীরব ভূমিকা পালন করছেন।" তিনি যোগ করেছেন, "এই নীরবতা দেখে মনে হচ্ছে, বিরোধীদের ছত্রছায়ায় এই প্রতিবাদ সভা চলছে। এখন এটা আর সিএএ বা এনআরসি বিরোধী আন্দোলন না। এটা এখন নরেন্দ্র মোদি-বিরোধী আন্দোলন।"
শাহিনবাগ নিয়ে অমিত শাহর মন্তব্যের সমালোচনা পি চিদাম্বরমের
দিল্লিজুড়ে এখন শীতের কামড়কে হার মানিয়েছে নির্বাচনী প্রচারের উত্তাপ। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে শেষ ল্যাপের প্রচারে ব্যস্ত শাসক-বিরোধী সব পক্ষ। তার মধ্যেই এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, "দিল্লিতে লক্ষাধিক মানুষ চুপ। কারণ তাঁরা শান্তি চান। আর ওদের নাগরিক অধিকার হনন করছে শাহিনবাগ। ওদেরও বলার আর মতপ্রকাশের অধিকার আছে। কিন্তু দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আর উপ-মুখ্যমন্ত্রী শুধু শাহিনবাগকে সমর্থন করছেন।"
CAA: "এত জোরে বোতাম টিপুন যাতে শাহিনবাগ কারেন্ট খায়", বললেন অমিত শাহ
এই অভিযোগের পাল্টা দিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের টুইট, "অনেক মানুষ শাহিনবাগ আন্দোলনের জন্য অসুবিধায় পড়ছেন। বিজেপি চায় না জনপথ খুলুক। এটা ওদের নোংরা রাজনীতির অংশ। বিজেপি নেতারা অবিলম্বে শাহিনবাগে গিয়ে প্রতিবাদীদের সঙ্গে আলোচনা করুক আর পথ খোলার ব্যবস্থা করুক।" এদিকে রবিশঙ্কর প্রসাদের সুর শোনা গিয়েছে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার গলাতেও। তিনি বলেছেন, "যারা ভারতকে ভাঙতে চায়, তাদের সমর্থন করছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কানহাইয়া কুমার-সহ অন্য ছাত্রনেতা, যাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা আছে, তাদের গ্রেফতার করতে অনুমতি দিচ্ছেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।"
অপরদিকে দিল্লির দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার জনপথ শাহিনবাগে প্রায় ২০০ জন মহিলা পথে বসেছেন। সিএএ ও এনআরসি'র বিরোধিতা করে চলছে ধর্না। প্রতিদিন সেই ধর্নার সমর্থনে কেউ না কেউ এগিয়ে আসছে। সেই প্রতিবাদ এখন বিজেপি ও বিরোধীদের রাজনীতির অস্ত্র, এমন মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।