কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)দাদাগিরি নিয়ে ইনস্টাগ্রামে জোরালো প্রতিবাদ করেন। স্কুলে দাদাগিরি (bullying) নিয়ে তাঁর মেয়ে জয়েশ ইরানির ( Zoish Irani)সঙ্গে হওয়া একটি অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল সাইটে শেয়ার করেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে মেয়ে জয়েশের ছবি দিয়ে স্মৃতি জানান মেয়ের সঙ্গে যে ছবি তিনি একদিন আগে শেয়ার করেও সরিয়ে নিয়েছিলেন সেই ছবিটিই তিনি আবার পোস্ট করলেন। ইনস্টাগ্রামে স্মৃতি(Smriti Irani) লেখেন, “আমি গতকাল আমার মেয়ের এই সেলফি ডিলিট করে দিয়েছিলাম এটা জেনে যে ক্লাসে এক সহপাঠী আমার মেয়েকে উত্যক্ত করে।এ ঝা নামে ঐ সহপাঠী তাঁকে ক্লাসে ঐ সেলফি নিয়ে ব্যঙ্গোক্তি করে ও তাঁকে কেমন দেখতে লাগছে এসব বলে হাসাহাসি করে অন্য সহপাঠীদের সঙ্গে”।
ক্লাসরুমে সহপাঠীদের হাসির পাত্র হয়ে স্মৃতির মেয়ে তাঁকে কাঁদতে কাঁদতে এসে ঐ সেলফি ডিলিট করার অনুরোধ জানায়, আর মেয়ের কান্না সহ্য করতে না পেরে স্মৃতিও ঐ ছবিটি ইনস্টাগ্রাম থেকে ডিলিট করে দেন, নিজেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী(Smriti Irani)।
যদিও পরে স্মৃতি(Smriti Irani) উপলব্ধি করেন আসলে ঐ ছবিটি ডিলিট করে তিনি ভুল করেছেন। কারণ তাঁর এই সিদ্ধান্ত আসলে পরোক্ষে ঐ দাদাগিরি বা উত্যক্ত করতে থাকা ব্যক্তিকেই সাহস যোগাবে। এর পরেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে মেয়ের সঙ্গে তাঁর তোলা ঐ সেলফি তিনি ফের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করবেন এবং কার্যত তিনি তাই করেন।
নিজের মেয়ের হয়ে স্মৃতি(Smriti Irani) ঐ দাদাগিরি করা সহপাঠীদের উদ্দেশে বার্তা দেন যে, “আমার মেয়ে একজন দক্ষ ক্রীড়াবিদ, লিমকা বুক অফ রেকর্ডসেও তাঁর পারদর্শীতা স্থান পেয়েছে, ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্টের অধিকারী সে, এমনকি বিশ্বমানের প্রতিযোগিতায় দু'দুবার ব্রোঞ্জ পদকেরও অধিকারী সে, আমার প্রিয় মেয়েকে দেখতেও যথেষ্ট সুন্দরী”, বার্তা দেন স্মৃতি ইরানি(Smriti Irani)।
“তাঁকে নিয়ে যতই হাসাহাসি কর বা দাদাগিরি করো না কেন, ও ঘুরে দাঁড়িয়ে এর জবাব দেবেই, ও জয়েশ ইরানি(Zoish Irani) এবং আমি তাঁর মা হতে পেরে গর্বিত”, লেখার শেষে একটি হৃদয়ের চিহ্নও যোগ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী(Smriti Irani)।