মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা ইরান বিমানপথ দিয়ে ভারতগামী উড়ানগুলি বাতিল করেছে। (ফাইল)
হাইলাইটস
- আমেরিকা ইরান বিমানপথ দিয়ে ভারতগামী উড়ান বাতিল করেছে।
- মার্কিন ড্রোনকে ইরান নামানোর পরেই এই সিদ্ধান্ত।
- উপসাগরীয় অঞ্চলে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।
আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রীয় বিমান চালনা প্রশাসন (FAA) তথা FAA-র তরফ থেকে বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশ জারি করা হয়েছে, যেখানে মার্কিন (US) বিমানচালকদের মানা করা হয়ছে তেহরান (Tehran) নিয়ন্ত্রিত বিমান ঘাঁটির পার্শ্ববর্তী জল-প্রধান এলাকা দিয়ে বিমান না নিয়ে যেতে। প্রসঙ্গত, ওই এলাকার মধ্যেই পড়ছে ওমান উপসাগরীয় অঞ্চল ও হরমুজের জলপ্রণালী। হঠাৎ তৈরি হওয়া উত্তেজনাময় পরিস্থিতির জন্যই এই সিদ্ধান্ত। ওই নির্দেশ এল মার্কিন এয়ারলাইন্স নিউ জার্সির নিওয়ার্ক বিমান বন্দর ও মুম্বইয়ের মধ্যের উড়ানগুলি বাতিল করে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা ইরান বিমানপথ দিয়ে ভারতগামী উড়ানগুলি বাতিল করেছে। মার্কিন নজরদারি ড্রোনকে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করে নামানোর পরে নিরাপত্তাজনিত কারণেই তাদের এই সিদ্ধান্ত।
ভাটপাড়ার ঘটনায় গ্রেফতার ১৬,এলাকায় এখনও উত্তেজনা; মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী
এক মার্কিন মুখপাত্র জানিয়েছেন, মুম্বই থেকে নিওয়ার্ক যাচ্ছেন যে যাত্রীরা তাঁদের বিকল্প উড়ানে আমেরিকায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা আমাদের সমস্ত বিকল্প ব্যবস্থাগুলি প্রয়োগ করছি এবং প্রাসঙ্গিক সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলছি। গ্রাহকদের যাতে সবচেয়ে ভালো ভ্রমণ অভিজ্ঞতা হয়, এই পরিস্থিতিতেও আমরা সেই চেষ্টা করছি।''
বৃহস্পতিবার, দুই অন্য বিমান পরিষেবা সংস্থা, আমেরিকান এয়ারলাইন্স ও ডেল্টা এয়ারলাইন্স জানিয়ে দিয়েছে, তারাও ইরানের উপর দিয়ে যাবে না। জাপানি বিমান পরিষেবা সংস্থা জাপান এয়ারলাইন্স কো লিমিটেড এবং এএনএ হোল্ডিংস আইএনসিও জানিয়েছে, তারা ওই এলাকা দিয়ে যাবে না।
সর্বোচ্চ ৬০,০০০ ফুট উচ্চতায় উড্ডয়ন ক্ষমতাসম্পন্ন গ্লোবাল হক ড্রোনকে ক্ষেপণাস্ত্র মেরে নামিয়ে এনেছে ইরান। বিশ্ব তেল সরবরাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপসাগরীয় অঞ্চলে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে অন্যতম ছ'টি তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরক হানার।
FAA জানিয়েছে, উড়ান চিহ্নিতকারী অ্যাপের সাহায্যে দেখা গিয়েছে, ইরানের মাটি থেকে আকাশমুখী ক্ষেপণাস্ত্র গ্লোবাল হক ড্রোনকে নামানোর সময় সবথেকে কাছের যাত্রীবাহী বিমান ছিল মাত্র ৪৫ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে।
এজেন্সি জানিয়েছে, এয়ারলাইন্সের MH17 বিমানকে মিসাইল ছুড়ে নামিয়েছিল উইক্রেন। মারা গিয়েছিলেন ২৯৮ জন যাত্রী।
ইরানের উপরে আক্রমণের নির্দেশ দিয়েও কেন পিছু হটলেন ট্রাম্প?
অন্য দেশের এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকরী নয়। কিন্তু OPSGROUP জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী সমস্ত বিমান পরিষেবা সংস্থাকেই এটা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে।
OPSGROUP জানিয়েছে, ‘‘MH17-র পর থেকে সব দেশই বিমানপথের বিপদ সম্পর্কে নির্ভর করে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির উপরে। দক্ষিণ ইরানের কোনও যাত্রীবাহী বিমানকে নামিয়ে আনার আশঙ্কাটা সত্যি।''
বিমান চিহ্নিতকারী ওয়েবসাইট Flightradar24 দেখাচ্ছে কাতার এয়ারওয়েজ এবং এতিহাদ এয়ারওয়েজের বিমান যেখানে মার্কিন বিমান ওড়া নিষিদ্ধ হয়েছে, সেই এলাকায় শুক্রবার দেখা গিয়েছে। গ্রিনিচ সময় ৩.০০-এর সময়। কাতার ও এতিহাদ এই নিয়ে কাজের সময়ের বাইরে কোনও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হয়নি।