This Article is From Jan 02, 2020

বিমানগুলিকে পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ আমেরিকার

FAA এর তরফে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের অসামরিক বিমান ক্ষেত্রের বিরুদ্ধে ম্যান পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহারের কোনও নজির নেই, সেখানকার কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী বা জঙ্গিগোষ্ঠী এই পদ্ধতি সন্দে্হজনক ভাবে ব্যবহার করে।

বিমানগুলিকে পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ আমেরিকার

এই নোটিশ আমেরিকার সমস্ত বিমান সংস্থা এবং পাইলটদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। (প্রতীকি ছবি)

নয়াদিল্লি:

“বিচ্ছিন্নতাবাদী বা জঙ্গি কার্যকলাপের” কারণে পাকিস্তানের (Pakistan) আকাশসীমা দিয়ে বিমান নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ঝুকি রয়েছে, বৃহস্পতিবার এই মর্মে তাদের দেশের বিমানসংস্থা এবং পাইলটদের সতর্ক করে দিল আমেরিকার বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা (Federal Aviation Administration) বা এফএফএ, এমনটাই জানা গিয়েছে সরকারি নথি থেকে। ২০১৯, ৩০ ডিসেম্বর, বিমানসংস্থা গুলিকে জারি করা নোটিশে এফএফএ (FAA)  উল্লেখ করেছে, “বিমান উড়ানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে। বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের কারণে পাকিস্তানের এলাকা বা আকাশসীমা দিয়ে বিমান ওড়ানোর ক্ষেত্রে মার্কিন অসামরিক বিমান পরিষেবায় ঝুঁকি রয়েছে”। এই নোটিশ আমেরিকার সমস্ত বিমান সংস্থা এবং পাইলটদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা নোটিশে জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এয়ারক্রাফট এবং বিমানগুলির ক্ষেত্রে এখনও মার্কিন অসামরিক বিমান ক্ষেত্রের ঝুঁকি রয়েছে, বিশেষ করে এয়ারক্রাফট এবং কম উঁচুতে ওড়া এয়ারক্রাফটগুলির ক্ষেত্রে, তারমধ্যে রয়েছে ওড়া এবং নামার সময়েও।

সেখানে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানে চলতি বিচ্ছিন্নতাবাদী/জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য ছোটো আগ্নেয়াস্ত্র থেকে মার্কিন অসামরিক বিমান পরিবহনে ঝুঁকি রয়েছে, বিমানবন্দরে হানা, পরোক্ষভা আগ্নেয়াস্ত্র, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট ছোঁড়া, কম সময়েই যে কোনও কিছু হতে পারে অথবা কোনও সতর্কবার্তা না দিয়েই”।

FAA এর তরফে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের অসামরিক বিমান ক্ষেত্রের বিরুদ্ধে ম্যান পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহারের কোনও নজির নেই, সেখানকার কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী বা জঙ্গিগোষ্ঠী এই পদ্ধতি সন্দে্হজনক ভাবে ব্যবহার করে।

তারা জানিয়েছে, “এর ফলে, ম্যানপ্যাডসের মাধ্যমে পাকিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী/জঙ্গি দের পক্ষে পাকিস্তানে হামলা চালানো ঝুঁকির”।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, পাইলট বা বিমানসংস্থাগুলিকে সুরক্ষা বা নিরাপত্তাজনিত ঘটনা, যা পাকিস্তানে ঘটতে পারে, সেগুলি এফএফএ কে জানাতে হবে।

নয়াদিল্লির সঙ্গে চাপানউতোর চলায় ভারতের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল পাকিস্তান, তবে গত বছরের ১৬ জুলাই তা আবারও খুলে দেয় তারা।

বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান হানার পর, ২৬ ফেব্রুয়ারি তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান।

গত বছরের অক্টোবরে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে চাপান উতোর চলায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিমান সৌদি আরবে যাওযার সময়, তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিতে অস্বীকার করে পাকিস্তান।

.