জ্যের প্রতিনিধিদের এই বার্তা দিয়েছে কলকাতা মেট্রো
কলকাতা: পয়লা জুলাই থেকে চলবে না কলকাতা মেট্রো সোমবারের এই ঘোষণায় স্পষ্টতই হতাশ নিত্যযাত্রীরা। আনলক ১.০ পর্বে অফিস-আদালত খুললেও, অমিল গণপরিবহণ। গুটিকতক বাসে ভর করে নিত্যযাত্রা করতে হচ্ছে নাগরিকদের। সেদিক বিচার করে গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata) মেট্রো পরিষেবা চালু করতে অনুমোদন দিয়েছিলেন। যত আসন, তত যাত্রী। এই ফর্মুলা মেনে মেট্রো চালাতে আপত্তি নেই সরকারের। স্পষ্ট করেছিলেন তিনি। কিন্তু মেট্রো রেল সূত্রে খবর, সোশাল দূরত্ব মেনে মেট্রো চালানো অসম্ভব। পাশাপাশি এই দপ্তর রেল মন্ত্রকের অধীনস্ত। তাই যতক্ষণ না কেন্দ্র থেকে সবুজ সংকেত আসছে, তারা মেট্রো চালাবে না । রাজ্যের প্রতিনিধিদের এই বার্তা দিয়েছে কলকাতা মেট্রো। এদিকে, প্রায় ১২ অগস্ট পর্যন্ত সব ট্রেন বন্ধ রাখতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক।
মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন থাকলেও, সোমবার পথে নামল না অধিকাংশ বেসরকারি বাস। ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে চলা জটে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে দুর্ভোগ নিত্যযাত্রীদের। গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী বাস মালিক সংগঠনগুলোকে আবেদন করেছিলেন, আরও অন্তত পাঁচ হাজার বাস পথে নামান। এখন ভাড়া বাড়ানো সম্ভব নয়। তবে সরকারি তরফে বাসপিছু ১৫ হাজার টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এই আবেদনও বাস নামাতে নারাজ জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট। তাদের দাবি, "যে হারে জ্বালানির দাম বেড়েছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিতে ভাড়া বাড়ানো একমাত্র বিকল্প। মুখ্যমন্ত্রী ১৫ হাজার টাকা সরকারি প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁর এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ।"
সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে পথে নেমে হয়রান নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, "গত দু'সপ্তাহের চেয়েও এদিন পথে কম ছিল বেসরকারি বাস। ফলে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে বেশ দেরী হয়ে যাচ্ছে। ডিপোতে সরকারি বাস থাকলেও তাদের পরিষেবা তথৈবচ।" বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডেও যাত্রীদের বাসের অপেক্ষায় দীর্ঘ লাইন চোখে পড়েছে।
এই বিতর্কে বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সচিব তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "ডিজেলের চড়া দাম সঙ্গে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি। যত সিট, তত যাত্রী, এই নিদান পালনে ক্ষতি হচ্ছে বাস মালিকদের। যে টিকিট বিক্রি হচ্ছে, তা থেকে জ্বালানির খরচও উঠছে না।" গত তিন সপ্তাহে প্রায় ২২ বার বেড়েছে ডিজেলের দাম। কিন্তু বাসভাড়া অপরিবর্তিত এমন অভিযোগও করেছেন তপন বন্দ্যোপাধ্যায়