Read in English
This Article is From Aug 13, 2019

উন্নাওয়ের নির্যাতিতার বাবাকে খুনে অভিযুক্ত বিজেপির কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

বিচাপতি আদালতে জানান, ধর্ষণে অভিযোগ যাতে না দায়ের হয় তার জন্যই এই অত্যাচার করা হয়েছিল। বিষয়টিকে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ বলেন বিচারক।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া ,

কুলদীপ সেঙ্গারকে সম্প্রতি দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি

নয়াদিল্লি:

উন্নাওয়ে (Unnao) নির্যাতিতার বাবাকে খুনের দায়ে বহিষ্কৃত বিজেপি (BJP) বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হল। দিল্লির আদালত, ধৃত কুলদীপ সিং সেঙ্গার (Kuldeep Sengar) ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে। এই ঘটনায় এক পুলিশ কর্মীও জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে। উন্নাওয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপির বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার (Kuldeep Sengar)। সম্প্রতি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি (BJP)। চলতি বছরের জুলাই মাসেই ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ে নির্যাতিতা। উন্নাও থেকে নির্যাতিতা ও তার মা, কাকীমারা একটি গাড়ি করে রায়বেরেলি আসছিলেন। মাঝপথে একটি ট্রাক তাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। ট্রাকটির নম্বর প্লেটে কালো রঙ দেওয়া ছিল। দুর্ঘটনার জেরে প্রাণ যায় নির্যাতিতার আত্মীয়ের। সে ও তার আইনজীবী হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন লাইফ সাপোর্টে রয়েছে নির্যাতিতা। অস্ত্র আইনে বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ক ও তার ভাই সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। বিচারক জানিয়েছেন, দেশি বন্দুকের সাহায্যে পরিকল্পনা করে নির্যাতিতার বাবাকে থানার মধ্যেই মারা হয়েছিল।

 উন্নাওয়ে ট্রাকের নম্বর প্লেট কালো কেন? ট্রাকের মালিক ও এজেন্টের মন্তব্যে নয়া মোড়

বিচারপতি আদালতে জানান, ধর্ষণের অভিযোগ যাতে না দায়ের হয় তার জন্যই এই অত্যাচার করা হয়েছিল। বিষয়টিকে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র'  (larger conspiracy) বলেন বিচারক। তিনি জানান, নির্যাতিতার বাবার মৃতদেহে ১৮টি ক্ষতের চিহ্ন মিলেছিল। নিহতকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে থানার মধ্যে মারা হয়। এই সব চলাকালীন দিল্লি থেকে অভিযুক্ত সেঙ্গার পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল।

"ভাই কুলদীপের খারাপ সময় যাচ্ছে...": উন্নাও ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রসঙ্গে বললেন বিজেপি বিধায়ক

Advertisement

উন্নাওয়ের এই ধর্ষণের ঘটনা আন্তর্জাতিক শিরোনামে এসেছিল। নির্যাতিতা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যথের (CM Yogi Adityanath) বাড়ির সামনে পৌঁছে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তার আগেই নির্যাতিতার বাবাকে বেআইনী অস্ত্র রাখার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়। নির্যাতিতা আত্মহত্যার চেষ্টার পরদিনই হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার বাবার।

জানা যায়, মৃত্যু আগেই নির্যাতিতার বাবাকে পেটে ব্যাথার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে তার মুখটি ক্ষত বিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। ময়না তদন্তে বলা হয় অন্ত্রে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে এই মৃত্যু। তাকে আক্রমণকারী হিসাবে জেলে দেওয়া বয়ানে অতুল সিংকে দায়ী করেছিল নির্যাতিতার বাবা।

Advertisement
Advertisement