গাড়ি দুর্ঘটনার পরদিনই একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্ত কুলদীপ সেঙ্গার, তাঁর ভাই মনোজ সিংহ সেঙ্গার ও আরও আটজনের বিরুদ্ধে।
লখনউ: সুপ্রিম কোর্টের কড়া নজরে চলছে উন্নাও(Unnao)ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত। অভিযুক্ত বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার(Kuldeep Singh Sengar) গত দেড় বছর ধরে জেলবন্দী। এই সময়কালে প্রভাবশালী ওই রাজনীতিবিদের সঙ্গে জেলে কারা দেখা করতে গিয়েছিল তার বিবরণ চাইলো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই(CBI)। একটি ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে জানা যায় রাজনৈতিক প্রভাবকে ব্যবহার করে সীতাপুরের চারবারের বিধায়কের সঙ্গে জেলে প্রায় বিভিন্ন লোক দেখা করতে আসত। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ। জেল কর্তৃপক্ষ কুলদীপ সিং সেঙ্গারের( Kuldeep Singh Sengar) জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছিল কিনা তাও দেখা হচ্ছে।
গত রবিবারই উন্নাও থেকে রায়বেরেলি যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন নির্যাতিতা। ওই দুর্ঘটনায় নিহত হন নির্যাতিতার দুই আত্মীয়। বহিষ্কত বিজেপি বিধায়কের ষড়যন্ত্রেই এই দুর্ঘটনা বলে আদালতে নালিশ করে নির্যাতিতার মা। তারপরই সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court) আগামী সাত দিনে এই মামলার তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেয়। তদন্তে নেমে শুক্রবারই দুর্ঘটনায় পর ঘটনাস্থলে আসা পুলিশ কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই(CBI)। গোয়েন্দারা। তাদের বয়ান নথিভুক্তও করা হয়েছে। তদন্তকারীদের আরেকটি দল ঘাতক ট্রাকটিকে পরীক্ষা করে দেখেছে।
বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court) জানিয়ে দেয় উন্নাও(Unnao) ধর্ষণ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি মামলাই লখনউ থেকে নয়াদিল্লিতে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই নির্দেশে বড় অস্বস্তিতে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সুপ্রিম কোর্ট মেয়েটিকে শুক্রবারের মধ্যে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে (Yogi Adityanath)। পাশাপাশি মেয়েটি ও তার আইনজীবীকে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী বা সিআরপিএফের সুরক্ষা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া বলা হয়েছে ধর্ষণের মামলাসহ চারটি মামলা বিচার শুরু হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। আদালত জানিয়েছে, দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য প্রয়োজনে আরও সাত দিন সময় দেওয়া হতে পারে।
গত রবিবার দুর্ঘটনার দু'সপ্তাহ আগেই নিগৃহীতা কিশোরী ও তার পরিবারের তরফে একটি চিঠি লেখা হয় ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে। তাতে বলা হয়েছিল, ৭ থেকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে সেঙ্গারের (Kuldeep Singh Sengar) সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ব্যক্তি তাদের পরিবারকে নিয়মিত হুমকি দেয়। চিঠিতে আদালতকে অনুরোধ করা হয় বিধায়ক সহ ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যেন পুলিশ মামলা রুজু করে। কিন্তু সেই চিঠি কেন প্রধান বিচারপতির(Chief Justice) কাছে পৌঁছতে বিলম্ব হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেক্রেটরি জেনারেলের রিপোর্ট তলব করেছেন রঞ্জন গগৈ।
সিবিআই এই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। গাড়ি দুর্ঘটনার পরদিনই একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্ত কুলদীপ সেঙ্গার, তাঁর ভাই মনোজ সিংহ সেঙ্গার ও আরও আটজনের বিরুদ্ধে।