গত বৃহস্পতিবার ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত কুলদীপকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি
হাইলাইটস
- উত্তরপ্রদেশের অন্তত ১৭ জায়গায় তল্লাশি চালাল সিবিআই
- প্রধান অভিযুক্ত কুলদীপ সেঙ্গার-র বাড়িতেও তল্লাশি
- গত বৃহস্পতিবার কুলদীপকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি
লখনউ: উন্নাও (Unnao) ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্ত করতে নেমে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) অন্তত ১৭ জায়গায় তল্লাশি চালাল সিবিআই (CBI)। তার মধ্যে অন্যতম উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার-র বাড়ি। শনিবার সীতাপুর থানায় যান সিবিআই আধিকারিকরা। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানেই কারাবন্দি কুলদীপ। এই সময়কালে কে কে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন সেই তালিকা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। একটি বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘‘সিবিআই চার জেলাতে তল্লাশি চালাচ্ছে— লখনউ, উন্নাও, বান্দা ও ফতেপুর। এছাড়াও অভিযুক্তর বিভিন্ন বাসস্থানে... তদন্ত চলছে।'' গত রবিবার একটি পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে উন্নাওয়ের নিগৃহীতা। তার অবস্থা এখনও গুরুতর।
"ভাই কুলদীপের খারাপ সময় যাচ্ছে...": উন্নাও ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রসঙ্গে বললেন বিজেপি বিধায়ক
ওইদিন কিশোরী একটি গাড়িতে করে যাওয়ার সময় নেমপ্লেট কালো কালিতে মোছা একটি ট্রাক এসে ধাক্কা মারে। কিশোরী ও তার আইনজীবী আহত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন তার দুই কাকিমা।
ট্রাক চালক ও ক্লিনারকে জেরা করা হচ্ছে। ট্রাকের মালিক জানিয়েছেন, ইএমআই দিতে না পারার কারণে ওই রং করার সিদ্ধান্ত। কিন্তু লোন এজেন্ট জানিয়ে দেয়, ইএমআই না দিতে পারার ওই দাবি ঠিক নয়। যা থেকে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
উন্নাওয়ে ট্রাকের নম্বর প্লেট কালো কেন? ট্রাকের মালিক ও এজেন্টের মন্তব্যে নয়া মোড়
গত বৃহস্পতিবার বিজেপি বহিষ্কার করেছে অভিযুক্ত কুলদীপকে। তাঁর বিরুদ্ধে তৈরি হয়েছে প্রবল জনমত। ওই নিগৃহীতার বাবা মারা গিয়েছেন পুলিশ হেফাজতে। দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন দুই কাকিমা, যাঁদের একজন ওই ধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী।
২০১৭ সালের জুন মাসে উন্নাওয়ে চাকরির জন্য কুলদীপের বাড়ি যায় ওই কিশোরী। সেই সময়ই তাকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত।
জেলবন্দি বিধায়ক নাগাড়ে হুমকি দিয়ে চলেছেন, এই কথা জানিয়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে চিঠি লেখে নিগৃহীতা। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, এই সংক্রান্ত চারটি মামলাই উত্তরপ্রদেশ থেকে সরিয়ে দিল্লিতে নিয়ে আসতে হবে।
এক বছর আগে কুলদীপের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করেছিল সিবিআই। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গতি এসেছে তদন্তে। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, সাত দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।
এফআইআর থেকে জানা যাচ্ছে, গত কয়েক মাসে কুলদীপ ও তাঁর সঙ্গীদের তরফ থেকে হুমকির পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল। এলাহাবাজ হাইকোর্ট ধর্ষণ কাণ্ডের এক অন্য অভিযুক্তকে জামিন দিতে অস্বীকার করার পরই হুমকির পরিমাণ বেড়ে যায়।
নিগৃহীতার কাকা জানিয়েছেন, তিনি ওই পরিবারকে উন্নাও থেকে দিল্লিতে চলে যাওয়ার জন্য বলেছিলেন।