Read in English
This Article is From Dec 08, 2019

এলেন না মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ; উন্নাও ধর্ষিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন করল পরিবার

Unnao Rape Case: রাজ্য সরকার জানিয়েছে নিগৃহীতার পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে এবং ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে মরে যাওয়া যুবতীর পরিবারের জন্য পাকা বাড়ি তৈরি করে দেবে সরকার!

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from ANI)

গতবছর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল বছর ২৩-এর ওই যুবতীকে

Highlights

  • ধর্ষিতা যুবতীর বাবা শনিবার বলেন, তিনি চান না যে সরকার টাকা দিক।
  • সরকার জানিয়েছে নিগৃহীতার পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে
  • যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, “এই মহিলার মৃত্যুর খবর কথা শুনে অত্যন্ত দুঃখিত।”
লখনউ:

সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে ধর্ষণে অভিযুক্তরাই আগুন লাগিয়ে দেয় উন্নাওয়ের ধর্ষিতার দেহে। শনিবার গভীর রাতে ৯০ শতাংশ পোড়া দেহেই মারা যায় ওই নিগৃহীতা। ২৩ বছর বয়সী মৃতা যুবতীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল রবিবার। যদিও ধর্ষিতা যুবতীর পরিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে (Chief Minister Yogi Adityanath) শেষকৃত্যের আগে তাদের সঙ্গে দেখা করার দাবি জানিয়েছিল এবং মৃতার বোন সরকারি চাকরির দাবিও জানিয়েছিল। তবে দেখা করেননি যোগী। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, “এই মহিলার মৃত্যুর খবর শুনে অত্যন্ত দুঃখিত।” গতকালই দু'জন মন্ত্রীকে রাজধানী লখনউ থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে উন্নাওয়ে পাঠান যোগী। তিনি আরও আশ্বাস দেন, এই মামলার দ্রুত শুনানি হবে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে এবং “দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।”

"এক সপ্তাহের মধ্যে দোষীদের ফাঁসি দিন বা গুলি করুন": মৃতার বাবার আবেদন

রাজ্য সরকার জানিয়েছে নিগৃহীতার পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে এবং ভয়াবহ আক্রমণে ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে মরে যাওয়া যুবতীর পরিবারের জন্য পাকা বাড়িও তৈরি করে দেবে সরকার! ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে যাওয়ার সময় ওই যুবতীর উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। শনিবার নিগৃহীতাকে বিমানে করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে সাফদারজং হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান যুবতী। তার ধর্ষণ মামলার মূল অভিযুক্ত মাত্র এক সপ্তাহ আগেই জামিনে মুক্তি পেয়েছিল।

Advertisement

উন্নাওয়ের ধর্ষিতার গ্রামে এসে বিক্ষোভের মুখে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীরা

যোগী আদিত্যনাথ সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধর্ষিতার শেষকৃত্য সম্পন্নের জন্য পরিবারকে রাজি করাতে তৎপর হয়। ধর্ষিতা যুবতীর বাবা শনিবার এনডিটিভিকে বলেন, তিনি চান না যে সরকার টাকা দিক বা বাড়ি বানিয়ে দিক। তিনি কেবল মরে যাওয়া মেয়ের জন্য ন্যায়বিচার চান। যুবতীর গ্রামের বাড়ির আশেপাশে বিপুল পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisement

যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা এবং বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী সহ বিরোধী নেতারা তিরস্কার করেছেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভদরা শনিবারই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, “এখানে নারীদের কোনও স্থানই নেই।”

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবও যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগের দাবিতে লখনউয়ের বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান। “বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “অপরাধীও কো ঠোক দিয়া যায়েগা”...কিন্তু তারা একটি মেয়ের জীবনও বাঁচাতে পারলেন না।” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী অভিযোগ করেছেন, “উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা ঘটে না এমন একটা দিনও নেই।”

Advertisement