Unnao Rape: উন্নাওয়ের মৃত তরুণীর বাড়ি গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি
হাইলাইটস
- উন্নাওয়ের ধর্ষিতার মৃত্যুতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সমালোচনায় কংগ্রেস
- মৃত তরুণীর বাড়ি গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি
- উত্তরপ্রদেশে নারীদের নিরাপত্তা নেই, এই কথাও বলেন সনিয়া কন্যা
লখনউ: উন্নাওয়ের মৃত নিগৃহীতার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, উত্তরপ্রদেশের ওই গ্রামে গিয়ে মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি (Priyanka Gandhi)। বৃহস্পতিবার উন্নাওয়ের বছর ২৩-এর ওই তরুণীর উপর প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়। তাঁকে ঘিরে ধরে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ৫ দুষ্কৃতী। প্রথমে এলাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে ৯০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ ওই তরুণীকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। যদিও তারপরেও বাঁচানো যায়নি নিগৃহীতাকে (Unnao Rape)। "আমি জানতে পেরেছি যে গত বছরের পর থেকেই নিগৃহীতার পুরো পরিবারকে লাগাতার হয়রানি করা হয়। আমি শুনেছি দোষীদের সঙ্গে বিজেপির যোগসূত্র রয়েছে। এই জন্যেই তাঁদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই রাজ্যে এখন অপরাধীদের মধ্যে কোনও ভয় নেই", বলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি।
তিনি আরও বলেন যে, "মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলছেন যে, রাজ্যে অপরাধীদের কোনও স্থান নেই তবে তিনি কেন স্বীকার করছেন না যে তিনিই এই রাজ্যকে এই অবস্থায় নিয়ে এসেছেন, আমি মনে করি এখানে নারীদের কোনও নিরাপত্তা নেই।"
প্রিয়াঙ্কা গান্ধি এই প্রশ্নও তোলেন যে কেন উন্নাওয়ে বিজেপি বিধায়কের দ্বারা এই একই ধরণের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও এই তরুণীকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি? তিনি সবাইকে মনে করিয়ে দেন এই উন্নাওয়েরই আরেক নিগৃহীতা জুলাই মাসে বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনায় তাঁর গাড়িতে একটি ট্রাক এসে ধাক্কা মারে এবং ওই নিগৃহীতাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
আত্মরক্ষার্থে পুরুষদের কাছ থেকে অধিকার ছিনিয়ে নিন: প্রিয়াঙ্কা গান্ধি
লখনউ থেকে উন্নাও রওনা হওয়ার আগেই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি টুইট করেন যে আগের উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডের কথা মনে রেখে সরকার কেন নিগৃহীতাকে নিরাপত্তা দেয়নি? যে পুলিশ আধিকারিক তাঁর এফআইআর রেজিস্ট্রেশন করতে অস্বীকার করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? উত্তরপ্রদেশে প্রতিদিন নারীদের উপর হওয়া অত্যাচার বন্ধে সরকার কী করছে? অন্য একটি টুইটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি পরিবারের সদস্যদের সাহস দেওয়ার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন যে সমাজে প্রত্যেকের সম্মিলিত ব্যর্থতার ফলেই ওই মহিলা ন্যায়বিচার পাননি। "সামাজিক স্তরে আমরা সকলেই দোষী, তবে একই সঙ্গে এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতির দিকেও ইঙ্গিত করে," টুইট করেন তিনি।
উন্নাও মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে অখিলেশ যাদব
পুলিশি নথিপত্রে দেখা গেছে যে, ওই তরুণী গত মার্চ মাসে উন্নাও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যেখানে তিনি অভিযোগ করেন যে, তাকে ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর গান পয়েন্টে রেখে ধর্ষণ করা হয় । পরে ২ অভিযুক্তের মধ্যে একজনকে ধরলেও জামিনে ছাড়া পেয়ে যান তিনি। শিবম ত্রিবেদী নামে ওই অভিযুক্তকে গত সপ্তাহেই মুক্তি দেওয়া হয়, জানান পুলিশ আধিকারিক এস কে ভগত। পাঁচজন হামলাকারীর মধ্যে তিনি এবং দ্বিতীয় অভিযুক্ত শুভম ত্রিবেদীও ছিলেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ৫ জন শুভম, শিবম, হরিশঙ্কর, উমেশ ও রাম কিশোরকে চিহ্নিত করে তাঁদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে নির্যাতিতা মারাত্মক ভাবে পুড়ে যাওয়া সত্ত্বেও হাসপাতালে নেওয়ার সময় পুরোপুরি সচেতন ছিলেন, সেখানেই তিনি পাঁচজন আক্রমণকারীকে শনাক্ত করে পুলিশকে একটি বিবৃতি দেন।
দেখে নিন এই খবরগুলোও: