জুলাই মাসে গাড়ি দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সে হাসপাতালে ভর্তি।
নয়াদিল্লি: উন্নাওয়ের ধর্ষিতা (Unnao Rape) কিশোরী ‘‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের হুমকি'' পাচ্ছে বলে সিবিআই (CBI ) বিশেষ আদালতকে জানিয়েছে বুধবার। আদালত উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকারকে নোটিস পাঠিয়ে জানতে চেয়েছে মেয়েটি ও তার পরিবারকে রাজ্যে ফেরাতে গেলে কীকী পদক্ষেপ করতে হবে। জুলাই মাসে গাড়ি দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সে হাসপাতালে ভর্তি। তার পরিবারের অভিযোগ, ওই দুর্ঘটনা ইচ্ছাকৃত, তাকে খুনের প্রচেষ্টা। ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার জেলে রয়েছেন। সিবিআই দিল্লিতে এদিন আদালতকে জানায়, ওই কিশোরী ও তার পরিবারকে ‘‘ক্যাটিগরি এ পর্যায়ে হুমকি'' দেওয়া হয়েছে। মেয়েটিকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা প্রদান করা উচিত। বিচারক ধর্মেশ শর্মা উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিস পাঠিয়ে রিপোর্ট জমা গিতে বলেন এক সপ্তাহের মধ্যে। জানতে চান, কিশোরী, তার মা, দুই বোন ও ভাইকে নিরাপদে স্থানে রাখার জন্য কী পদক্ষেপ করা হয়েছে।
গত ২৮ জুলাই একটি ট্রাক এসে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলির কাছে মেয়েটির গাড়িকে ধাক্কা মারলে গুরুতর আহত হয় ওই কিশোরী। তাকে দিল্লির এইমস হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তার দুই কাকিমা ওই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। ট্রাকটির নম্বর প্লেট কালো কালিতে ঢাকা ছিল।
উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে বেঁচে থাকা নিগৃহীতার বিবৃতি রেকর্ড করতে এইমসে বিচারক
এমাসের গোড়ায় এক বিচারক কিশোরীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য হাসপাতালে যান। হাসপাতালেই ‘কোর্টরুম' তৈরি করা হয়। অভিযুক্ত কুলদীপকেও সেখানে নিয়ে আসা হয়। কিশোরীর বয়ান নেওয়ার সময় দু'জনের মাঝখানে একটি পর্দা ফেলা ছিল।
সিবিআই আদালতকে দুর্ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের আর্জি জানায়।
গত ১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি মামলাই দিল্লিতে স্থানান্তরিত করে। জানিয়ে দেয় ৪৫ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে।
উন্নাও কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত কুলদীপের বাড়ি সিবিআই হানা
শীর্ষ আদালত এই সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েটির পরিবারের তরফ থেকে একটি চিঠিতে কুলদীপের পক্ষ থেকে লাগাতার হুমকির অভিযোগ জানানোর পর। ১২ জুলাই লেখা ওই চিঠি লেখা হয় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের উদ্দেশে। জানানো হয়, কীভাবে কুলদীপের সঙ্গীরা নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে তাঁদের। অভিযোগ জানানো হয়, কীভাবে গত এক বছরে তাঁদের পরিবারকে কেস তুলে নেওয়ার কথা জানিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা আদালতের কাছে সুরক্ষার আর্জি জানান।
চারবারের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ গত বছরের এপ্রিল থেকে জেলে রয়েছেন। গাড়ি দুর্ঘটনার পরে সেটির চক্রান্তকারী হিসেবে কুলদীপকে অভিযুক্ত করে কিশোরীর পরিবার।
গ্রেফতার হওয়ার পর কুলদীপকে বরখাস্ত করা হয় বিজেপি থেকে।