স্ট্রাইকের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও ছবি এখনও প্রকাশ করেনি ভারত।
হাইলাইটস
- পাঁচ দিন আগে সীমানা পেরিয়ে আঘাত হানার কথা বলে ভারত
- এখনও এয়ার স্ট্রাইকের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও ছবি এখনও প্রকাশ করেনি ভারত
- এ নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছেন বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা
পাঁচ দিন আগে সীমানা পেরিয়ে আঘাত হানার কথা বলে ভারত। দিল্লি দাবি করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে জইশ- ই- মহম্মদের সবচেয়ে বড় জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে ভারতীয় বায়ু সেনা। তবে এখনও এয়ার স্ট্রাইকের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও ছবি এখনও প্রকাশ করেনি ভারত। আর তা নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছেন বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বায়ুসেনার প্রশংসা করলেও স্ট্রাইক সম্পর্কে তথ্য চেয়েছেন। একই পথে হেঁটেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী। কিন্তু সেদিন কী হয়েছিল তা জানাতে পারে উপগ্রহচিত্র। আর তাই উপগ্রহ চিত্র গুলিকে একান্ত গোপনীয় তথ্য বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
স্পাইশ ২০০০ গ্লাইড বোমা ব্যবহার করেছে ভারত। .
দিল্লি জানিয়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ সীমানা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হানা দিয়েছিল বায়ুসেনা। বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ ২০০০ বিমান ইজরায়েলের বিশেষ বোমা ফেলে ধ্বংস করেছে জইশ ঘাঁটি। এনডিটিভি জানতে পেরেছে, দুটি আলাদা সূত্র থেকে উপগ্রহ চিত্র পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে দেখা যাচ্ছে বালাকোটে জইশের ছ'টির মধ্যে পাঁচটি ঘাঁটিতে আঘাত হানতে পেরেছে বাহিনী।
রাজস্থানের পোখরানের চিত্র। ..
ওই পাঁচটি বাড়ির মধ্যে বেশ কয়েকটি ছোট ছিদ্র দেখা যাচ্ছে। এগুলি দিয়েই ঢুকেছিল স্পাইশ ২০০০ গ্লাইড বোমা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এই বোমাগুলি কোনও বাড়িতে গিয়ে লাগলে সেটি ধ্বংস নাও হতে পারে কিন্তু ভেতরে ঢুকে নিজের কাজ করে দেয়। এই গুণের জন্য অনেকে গ্লাইড বোমাকে অদৃশ্য অস্ত্রও বলেন। আগেও এনডিটিভি জানিয়েছিল ধীরে ধীরে ভেতরে প্রবেশ করে মিরাজ বিমানগুলি। কোথা থেকে বোমা নিক্ষেপ করা যেতে পারে তা দেখে নিয়ে হামলা চালানো হয়। একটি সূত্র বলছে, বালাকোটের আকাশে মেঘ জমে থাকায় ভারতীয় উপগ্রহ সুস্পষ্ট ছবি তুলতে পারেনি। ভারতের এই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অস্ট্রেলিয়ার সাইবার পলিসি সেন্টার। তাদের তরফে নাথান রাসার জানিয়েছেন, ভারতের দাবি সংশয়ের উপরে নয়। এদিকে আজ সকালে দ্য প্রিন্ট একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বিশিষ্ট সাংবাদিক তহা সিদ্দিকি একটি অডিও টেপ সম্পর্কে লিখেছেন। সেটি হামলার দু'দিন বাদে রেকর্ড হয়েছে। তাতে জইশের তরফ থেকে ভারতের হামলার প্রসঙ্গ স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। ইতালির এক সাংবাদিকও দাবি করেছেন ভারতের আঘাত হানা জায়গা থেকে কয়েকটি দেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।