ক্যাইরানা পুননির্বাচনের ফলাফল বিপক্ষে দলের 2019 সালের ভোটের সমীকরণকে অনেকটা বদলে দেবে
নিউ দিল্লি:
বিরোধী দলের জোট এখন উত্তরপ্রদেশে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। এই রাজ্যই লোকসভায় সব থেকে বেশি সাংসদ পাঠায়। সমাজবাদী পার্টি নূরপুরে বিজেপির থেকে আসন ছিনিয়ে নিয়েছে। আর ক্যারাইনাতে বিজেপি বিপক্ষ প্রার্থী এখন অনেকটাই এগিয়ে চলেছে। দুটি লোকসভা কেন্দ্রে অনেক বুথে সোমবার ইভিএম মেশিন গোলযোগের অভিযোগ নাকচ করা হয়। ক্যাইরানার 73টি ও বান্দারা-গোন্দিয়ার 49 ভোটগ্রহন কেন্দ্রে গতকাল পুনরায় ভোটগ্রহন হয়। VVPAT অথবা ভোটার ভেরিফাইবেল পেপার অডিট ট্রেল মেশিনসের প্রায় 20 শতাংশ, যার দ্বারা স্লিপের মাধ্যমে ভোটারদের পছন্দের মাধ্যমে নিজেদের আসন বদল করতে পারবে।
. ক্যারাইনাতে বিজেপি বিপক্ষ প্রার্থী এখন অনেকটাই এগিয়ে চলেছে
. সমাজবাদী পার্টি নূরপুরে বিজেপির থেকে আসন ছিনিয়ে নিয়েছে
. মহারাষ্ট্রের পালঘর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি এই মুহূর্তে এগিয়ে আছে।
.এনদিপিপি এই মুহূর্তে নাগাল্যান্ডে এগিয়ে আছে।
. কিন্তু ক্যারাইনাতে এক অন্য পরীক্ষায় বিপক্ষ জোট এখন এগিয়ে আছে।
.ক্যাইরানাতে মূল লড়াই হতে চলেছে জোট বিপক্ষ এবং বিজেপি মধ্যে। দুই পক্ষের অভিযোগ অনুসারে VVPAT মেশিনে সমস্যার কারণ নির্বাচন কমিশন পুনরায় ভোট গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়।
.ক্যাইরানায় তাবাস্সুম হাসান হল রাষ্ট্রীয় লোক দলের বিপক্ষের প্রার্থী, তিনি অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন দলিত নিয়ন্ত্রিত এবং মুসলিম এলাকায় মেশিনে সমস্যা তৈরী হয়েছে। যার পিছনে বিপক্ষের নাকি যথেষ্ট মদত আছে। এবং সেটা বদল করা অবধি হয় নি। ও জেলা শাসক এই অভিযোগ অস্বীকার করে ছিল।
.ক্যাইরানা নির্বাচনে 2014 সালে বিজেপি জয়লাভ করে ছিল, আর সেটাই এখন 2019 এর ভোটের কথা মাথায় রেখে পরীক্ষামূলক নির্বাচন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কারণ এখান থেকেই বহু নেতা লোকসভায় প্রবেশ করে।
.চির প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টি আর বহুজন সমাজ পার্টি এক জোট হয়ে এই বছর গোরকপুর আর ফুলপুরে বিজেপিকে পরাজিত করার পরই, কংগ্রেস আর আরএলডি এবার ক্যাইরানাতে এক জোট হয়েছে। ভোট মেশিনে ব্যাপকভাবে ব্যর্থতার কারণে, বিপক্ষ দলের এসপি নেতা অখিলেশ যাদব আর এনসিপি প্রফুল প্যাটেল নিজেদের প্রার্থীদের জন্য 2019 ভোটের জন্য ব্যালট পেপার ব্যবহারের নতুন বার্তা তৈরী করেছে।
.নির্বাচন কমিশনের কাছে আসা চরম উত্তেজনার অভিযোগকে নস্যাৎ করা হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওপি রাওয়াত এনডিটিভি-কে জানিয়েছেন, এই সকল মেশিন নতুন আর প্রথমবার ব্যবহার হচ্ছে। আর সেটা 2019 আগে ঠিক হয়ে যাবে। এবং নির্বাচন কর্মীদের মেশিন ব্যবহার করতে না পারার দোষকে স্বীকার করে নিয়েছেন।