UP Protest: যোগী আদিত্যনাথ বলেন, "গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনও স্থান নেই। (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- উত্তরপ্রদেশে যাঁরা সহিংস বিক্ষোভ করছেন তাঁদের ছেড়ে কথা বলা হবে না
- কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ
- ক্ষতিপূরণ নেওয়া হবে সংঘর্ষে জড়িতদের কাছ থেকে, বললেন যোগী
লখনউ: নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে (Citizenship Amendment Act) যাঁরা সহিংস প্রতিবাদের (UP Protest) রাস্তা বেছে নিয়েছেন তাঁদের ছেড়ে কথা বলবে না উত্তরপ্রদেশ সরকার, সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, যাঁরা বিক্ষোভের (Citizenship Act Protest) নামে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছে তাঁদের চিনে রাখছে সরকার। ওই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পূরণের জন্যে ওই বিক্ষোভকারীদের সম্পত্তি নিলাম করে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে, হুঁশিয়ারি যোগীর। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে জড়িতদের "ছবি ভিডিও এবং সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে, আমরা তাঁদের উপর 'বদলা' নেব", বলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath)।
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, "গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনও স্থান নেই। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করার নামে কংগ্রেস, এসপি এবং বাম দলগুলি পুরো দেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি করেছে"। "লখনউ ও সম্ভালে সহিংসতা বাড়ছে এবং আমরা এই ধরণের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে পদক্ষেপ করবো। জনগণের সম্পত্তি যাঁরা নষ্ট করছে, তাঁদের সমস্ত সম্পত্তি দখল করা হবে এবং লোকসানের ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য নিলাম করা হবে", হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন তিনি।
পুলিশের গুলিতে মেঙ্গালুরু-তে নিহত ২ লখনউয়ে ১, উত্তপ্ত ভারত: ১০ তথ্য
তিনি আরও যোগ করেন যে, ভারতীয় সংবিধান মতে ১৪৪ ধারা অনুসারে এখানে কোনও বড় জমায়েত নিষিদ্ধ। গত ৮ নভেম্বর থেকে রাজ্যে এই ধারা কার্যকর রয়েছে, তার ফলে কেউই অনুমতি ছাড়া কোনও বিক্ষোভ মিছিল করতে পারে না।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বিক্ষোভের নামে সহিংসতা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। আমি সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি এবং সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে কড়া নজর রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। আমরা সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করব।"
লখনউতে পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ নাগরিকত্ব আইনের বিক্ষোভকারীদের
পাশাপাশি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যেভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিরোধী দলগুলি তার বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন যে, এই আইনটি নিয়ে ইচ্ছা করেই মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা দিচ্ছে বিরোধীরা, যাতে মানুষ এই আইনটিকে প্রত্যাখ্যান করে।
"সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কোনও ধর্ম বা সমাজের বিরুদ্ধে নয়। এটি অন্যান্য দেশের শরণার্থীদের এদেশে নাগরিক সুরক্ষা পেতে সহায়তা করবে", যুক্তি দিয়ে বলেন যোগী আদিত্যনাথ ।
জেনে নিন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কী বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: