UP Citizenship Act Protest: রাজ্যে জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করেই বিক্ষোভ দেখানো হয়, জানান পুলিশ কর্তা
হাইলাইটস
- পুলিশের গুলিতে কোনও বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়নি, জানালো উত্তরপ্রদেশ পুলিশ
- শুক্রবার সে রাজ্যে বিক্ষোভ চলাকালীন ৯ জনের মৃত্যু হয়
- অভিযোগ ওঠে, পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের
লখনউ: উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভ (Citizenship Act Protest) চলাকালীন প্রতিবাদকারীদের হঠাতে কোনওভাবেই "গুলি চালানো হয়নি", সাফ জানালেন সে রাজ্যের শীর্ষ পুলিশকর্তা ওপি সিং। শুক্রবার বিক্ষোভরত জনতার মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়, অভিযোগ ওঠে যে, পুলিশের চালানো গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। কিন্তু সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের (Uttar Pradesh) পুলিশ কর্তা স্পষ্ট জানালেন কোনওভাবেই বিক্ষোভ মিছিলকে লক্ষ্য (UP Citizenship Act Protest) করে কোনও গুলি চালায়নি পুলিশ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সংঘর্ষে উত্তাল হয়েছে উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলার মধ্যে ২০ টি জেলা, ৯ বিক্ষোভকারী সহ মৃত ১১, জানাল পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ প্রধান ওপি সিং এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, "ওই জেলাগুলিতে জুমার নমাজ পাঠের পরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামেন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ সামলানোর চেষ্টা করেছি। এর আগে আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণই হবে", জানান পুলিশ কর্তা।
"কিন্তু পরে দেখা যায় ধীরে ধীরে বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়। পাথর ছোঁড়া শুরু হয়, বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের হাতে অবৈধ অস্ত্রও ছিল, তা থেকেই গুলি চালায় তাঁরা। আমি মনে করি না পুলিশের কাছে অন্য কোনও বিকল্প ছিল। তবে আমি এটা স্পষ্ট করে বলতে পারি যে কোনওভাবেই পুলিশ একটিও গুলি চালায়নি। প্রতিবাদকারীদের লক্ষ্য করে একটিও গুলি চালায়নি তাঁরা। বিক্ষোভকারীরা নিজেদের মধ্যেই গুলি বিনিময়ের সময় মারা যান। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরেই বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে", বলেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশের বিক্ষোভকারী-পুলিশ সংঘর্ষ, বন্ধ ইন্টারনেট, নতুন করে বিক্ষোভ দিল্লির জামিয়াতেও
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশের ১২টি জেলায় শুক্রবার দুপুরে রাজ্যব্যাপী জারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাজার হাজার মানুষ পথে নেমে আসে। অভিযোগ, প্রতিবাদীরা গাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি পাথরও ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে থাকে। মীরাট, মুজাফফনগর, বাহরাইচ, বুলন্দশহর, গোরক্ষপুর, ফিরোজাবাদ, আলিগড়, ফারাক্কাবাদে অশান্তির কথা জানা গিয়েছে। প্রায় দু'মিনিটের ভিডিওতে শুক্রবার গোরক্ষপুরে হওয়া হওয়া অশান্তির দৃশ্য দেখা গিয়েছে। বিক্ষোভকারী-পুলিশ সংঘর্ষের সময় মৃত্যু হয় ৯ জনের। ৫০ জনেরও বেশি পুলিশকর্মী আহত হন বলে খবর।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বলি ৬! CAA-এর প্রতিবাদে নেমে উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু বিক্ষোভকারীদের!
"লখনউতে, মহিলা এবং শিশুরা বিক্ষোভ মিছিলের সর্বাগ্রে ছিল। আমাদের উদ্দেশ্য কখনওই মানুষকে হত্যা করা নয়, এমনকি প্রতিবাদকারীদের কোনও ক্ষতি করাও উদ্দেশ্য ছিল না। বারাণসীতে হাজার হাজার লোক সেখানে একটি মিছিলে জড়ো হলে ধাক্কাধাক্কিতে একটি শিশু মারা যায়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ১২ বছরের শিশুরাও ছিল।তারা কি নাগরিকত্বের অর্থ বোঝে?" প্রশ্ন করেন পুলিশ কর্তা। পাশাপাশি তিনি এও আশ্বাস দেন যে পুলিশের গুলিতে যদি কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হওয়ার প্রমাণ মেলে তবে অবশ্যই সেই মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে।
শুক্রবার মুরাদনগরে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনার পরে গাজিয়াবাদে চারটি বিভিন্ন থানায় প্রায় ৩,৬০০ বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে তাঁদের মধ্যে এসপি নেতা রশিদ মালিকও রয়েছেন।
দেখুন এই ভিডিও: