কানপুর, বালিয়া, বারানসী, গোরখপুর ও আজমগড়ের উদ্দেশে ছাড়ছে এই বাস।(ফাইল)
হাইলাইটস
- আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের গ্রামে ফেরাতে তৎপর ইউপি সরকার
- পথে নামাল ১০০টি বাস। তদারকিতে পুলিশকর্তারা
- পর্যাপ্ত খাওয়ার ও জলের জোগান রাখতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
লখনউ: কেউ হাঁটছেন ১৮০ কিমি। কেউ বা ১৫০ কিমি। কেউ আবার ২০০কিমি। সেই মঙ্গলবার থেকে তাঁরা হাঁটছেন, শুধুমাত্র গ্রামে ফিরতে। এই তাঁরা; প্রত্যেকেই দিনমজুর কিংবা পরিযায়ী শ্রমিক (Migrants workers)। যাদের বেশিরভাগই উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh)। দিল্লি থেকে কিংবা পড়শি রাজ্য থেকে হেঁটেই ফিরছেন তাঁরা। কারণ, ২১ দিনের লকডাউনের জেরে বন্ধ কর্মকাণ্ড;। ফলে নেই কাজ, আশ্রয়। তাই মাথা গোঁজার ঠাই পেতে গ্রামের বাড়ি এখন একমাত্র সম্বল। সেই আশায় পথে নেমেও নিস্তার নেই। পড়তে হয়েছে পুলিশের জুলুমের মুখে। লাঠির গুঁতো খেয়েছেন অনেক শ্রমিক। এবার এই দুর্দশা থেকে মুক্তি দিতে উদ্যোগ নিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। পড়শি রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে ১০০০ বাস পথে নামাল সরকার। জানা গিয়েছে, পড়শি রাজ্যের ইউপি লাগোয়া জেলা থেকে সেই শ্রমিকদের রাজ্যের একাধিক জায়গায় পৌঁছে দেবে বাসগুলো। শনিবার এমনটা জানিয়েছেন ইউপি সরকারের (Yogi Government) এক কর্তা।
করোনা ভাইরাসের নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি, এবার আর ২ দিন নয়, ৫ মিনিটেই মিলবে রিপোর্ট
জানা গিএছেম নয়ডা, গাজিয়াবাদ, বুলন্দশহর আর আলীগড় এবং রাজ্যের সীমানা লাগোয়া পড়শি রাজ্যের অন্য জেলা থেকে উদ্ধার করা হবে সেই শ্রমিকদের। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশেই এই উদ্যোগ, দাবি সেই কর্তার। সেই কর্তার আরও দাবি, "মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে স্পষ্ট নির্দেশ; যাত্রা পথে পরিযায়ী শ্রমিকদের খাওয়ার আর জলের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।" শনিবার সকালে পুলিশকর্তারা লখনউয়ের চারবাগ বাসস্ট্যান্ড গিয়ে তদারকি করেন। যাদেরকে ভিন রাজ্য থেকে আনা হয়েছে, তাঁদের জন্য পানীয় জল ও খাওয়ার পর্যাপ্ত কিনা, খবর নিয়েছেন পুলিশকর্তারা।
ভারতে এই প্রথম অনুবীক্ষণ যন্ত্রে ধরা পড়ল করোনা ভাইরাসের ছবি
জানা গিয়েছে, লখনউ থেকে একাধিক বাস বিভিন্ন রুটে কানপুর, বালিয়া, গোরখপুর, বারানসী, আজমগড়, ফৈজাবাদ, প্রাতাপগড়, আমেঠি, রায়বরেলি, গোণ্ডা, বাহরাইচের উদ্দেশে যাত্রা করছে। সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক হিতেশ অবস্থি আর লখনউয়ের পুলিশ কমিশনার সুজিত পাণ্ডে, ব্যাক্তিগত ভাবে উপস্থিত থেকে তদারকি করছেন।