This Article is From Mar 09, 2020

সরকারি হোর্ডিংয়ে সিএএ প্রতিবাদীদের নাম-পরিচয়! "নির্লজ্জ" আখ্যা দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট

যোগী সরকারের এই পদক্ষেপকে 'নির্লজ্জ' বলে ধমক এলাহাবাদ হাইকোর্টের । অবিলম্বে এই জাতীয় হোর্ডিং ও পোস্টার সরানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সিএএ প্রতিবাদীদের নাম-ছবি সহ টাঙানো হোর্ডিং খুলে ফেলার নির্দেশ হাইকোর্টের।

হাইলাইটস

  • উত্তরপ্রদেশে সরকারি ব্যানারে সিএএ প্রতিবাদীদের নাম-পরিচয়
  • অবিলম্বে সরাতে নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের
  • "অযাচিত ভাবে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ," জানাল আদালত
লখনউ:

সিএএ প্রতিবাদীদের (CAA Protestor) নাম ও ছবি সম্বলিত হোর্ডিং উত্তরপ্রদেশের সর্বত্র। রাজ্য সরকার এই প্রচারকে নাম দিয়েছে পরিচয় প্রকাশ করে লজ্জিত করা । কিন্তু যোগী সরকারের (UP Government)  এই পদক্ষেপকে 'নির্লজ্জ' বলে ধমক এলাহাবাদ হাইকোর্টের । অবিলম্বে এই জাতীয় হোর্ডিং ও পোস্টার সরানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।  একে ব্যক্তি স্বাধীনতায় অযাচিত হস্তক্ষেপ বলে দুষেছে হাইকোর্ট। আদালতের মন্তব্য, "ব্যক্তি পরিসরের অধিকার মৌলিক মানব অধিকার। যা রাষ্ট্রসঙ্ঘ ও সুপ্রিম কোর্ট স্বীকৃত। সেই অধিকারের হস্তক্ষেপ করেছে রাজ্যের এই উদ্যোগ। তাই আগামী ১৬ মার্চের মধ্যে সব ব্যানার ও হোর্ডিং সরিয়ে আদালতে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে সেই হোর্ডিংয়ে সিএএ প্রতিবাদীদের নাম উল্লেখ করে ক্ষতিপূরণের প্রসঙ্গ উল্লেখ আছে। সেই ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হলে, সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া। 

বাংলায় মহিলাদের মাদক খাইয়ে আন্দোলনে নামানো হচ্ছে: দিলীপ ঘোষ

সেই উদ্যোগের বিরোধিতা করে রবিবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুরের এজলাসে শুনানি হয়। ছুটির দিন সকাল ১০টা নাগাদ সেই শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন প্রবীণ আইনজীবী কেকে রাই। শুনানি শেষে সংবাদ মাধ্যমকে ওই আইনজীবী বলেছেন, প্রইছয় প্রকাশ করে লজ্জিত করানোর এই উদ্যোগ অবৈধ। ব্যক্তি পরিসর, সম্মান ও স্বাধীনতায় অযাচিত ভাবে হস্তক্ষেপ করছে সরকার। 

প্রধানমন্ত্রী মোদির দেওয়া সম্মান ফেরানোর পর লিসিপ্রিয়ার নিশানায় কংগ্রেস

সরকারি এই উদ্যোগে নাম আছে সমাজকর্মী সাদাফ জাফরের। সেই সমাজকর্মী হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এই রায়ে ভারতীয় সংবিধানের ওপর আমাদের বিশ্বাস আরও প্রকট হল । ওপর এক সিএএ প্রতিবাদী তথা নাট্যকর্মী দীপক কবির বলেছেন, ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এটা এখন ডিজিটাল যুগ। তাই এই রায় আমাদের কাছে নৈতিক জয়।

.