সুঘর নদীর মধ্যে ডুব দিয়ে, অনেক ভিতরে গিয়ে হাত দিয়ে, এমন কি মুখ দিয়ে কামড়ে পর্যন্ত, জ্যান্ত মাছ ধরতে পারেন
নয়াদিল্লি: উত্তর প্রদেশের হামিরপুর জেলার মেরাপুর গ্রামে "সুঘর নিষাদের" কীর্তি দেখে আশপাশের গ্রামের লোকেরাও হতবাক হয়ে যান। সুঘর নদীর মধ্যে ডুব দিয়ে, অনেক ভিতরে গিয়ে হাত দিয়ে, এমন কি মুখ দিয়ে কামড়ে পর্যন্ত, জ্যান্ত মাছ ধরতে পারেন। তার অদ্ভুত কীর্তিই তার রুজি-রুটির জোগান দেয় । আসলে বড় বড় জেলে যারা নদীতে ঘন্টার পর ঘন্টা জাল ফেলেও কোন মাছ ধরতে পারে না, তারা সুঘরকে কাজ দেন। ওই রকম পরিস্থিতিতে সুঘর একেবারে জলের ভিতর চলে যান । আর তারপর একবার ডুব দিয়ে একদম জলের ভিতরে গিয়ে এক এক বারে তিন তিনটে মাছ ধরে আনতে পারেন। তার কারণ হাত এবং মুখ দুটোই ব্যবহার করতে পারেন সুঘর।
বাকিংহাম প্রাসাদে এ কী হল? হ'ল? রানীর ইশারায় ট্রাম্পকে কী করলেন রাজকুমারী?
সংবাদ সংস্থাকে সুঘর জানিয়েছেন তার বাবা শিবপ্রসাদের কাছ থেকে তিনি এই কৌশল শিখেছেন। তাদের ওখানে মাছ বেচার কাজ হতো, জানিয়েছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই যখন তার বাবা নদীতে মাছ ধরতে যেতেন তার সঙ্গে যেতেন সুঘর । বাবা তাকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন । তার বাবা হাত দিয়ে মাছ ধরতেন। বাবার সেই মাছ ধরার অদ্ভুত কৌশল খুব মন দিয়ে শিখতেন তিনি।অভাব থাকার কারণে খুব একটা বেশি দূর পড়তে পারেনি ,শুধু মাত্র ক্লাস ফাইভ পর্যন্তই পড়াশোনা করেছে সুঘর।
ছোট্ট মেয়ের সঙ্গে হাত মেলানো হয়নি, বাড়ি গিয়ে করমর্দন আবু ধাবির যুবরাজের
সুঘর জানিয়েছেন, এটা কোনও জাদু নয় শুধু লাগে মনোযোগ। জলের ভিতর অনেকক্ষণ শ্বাস আটকে মাছের পিছন পিছন যেতে হয়। তারপর মাছ নিজে নিজেই আপনার কাছে চলে আসে। সুঘরের কথায় এই অদ্ভুত কৌশলে মাছ ধরার জন্য মাছের মতোই জলের ভিতর চলতে হয়। পাশাপাশি সুঘর জানিয়েছেন মাছের ওপর যদি হাত রাখা যায় তাহলে মাছ আর এগোয় না। তবে এই কৌশল সে বহুদিন ধরে করে আসছেন তিনি। এতদিনেও কোন মাছ তাকে কোনরকম আঘাত করেনি।
মরা তিমির পেট থেকে মিলল ১০০কেজি প্লাস্টিক! সামুদ্রিক বর্জ্য নিয়ে তোলপাড় বিশ্ব
সুঘর জানিয়েছেন স্নান করার সময়ই হাত আর মুখ দিয়ে মাছ ধরেন তিনি। কারণ সেটা তার শখ। আবার যখন কেউ নিজের পছন্দের মাছের তালিকা তাকে ধরিয়ে দেন সেই মতো তিনি নদীর ভিতরে ঢুকে নিয়ে আসেন । এটাই তার রুজি রুটি জোগাড় এর মাধ্যম। প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১৫ কিলো মাছ ধরেন। প্রতিদিন হাজার থেকে দুহাজার টাকা আয় হয়। তার পরিবার বড়। তাই যত আয় করতে পারে ততটাই লাভ হয় তার। সাঁতার আর মাছ ধরার এই অদ্ভুত কৌশলের জন্য যমুনা নদীতে যখন কেউ ডুবে যায় তখন প্রশাসনের তরফ থেকেও আধিকারিকরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এখনও পর্যন্ত অনেককেই জলে ডোবার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন সুঘর।
এই অদ্ভুত কৌশল দেখে অনেকেই বলিউডের সুপারস্টার ঋত্বিক রোশনের ছবির কৃষের( Krish) সঙ্গে তার তুলনা করেন। অনেকেই বলেন আসলে সে কৃষ্ণা।তার প্রতিভা দেখার জন্য নদীর পাড়ে ভিড় জমে। সুঘরের এই অদ্ভুত প্রতিভার প্রশংসা সবাই করেন। আর তাই এখন তাকে "বুন্দেলখন্ড ফিশারম্যান"(Bundelkhand Fisherman) উপাধি দেওয়া হচ্ছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)Click for more
trending news