This Article is From Dec 26, 2019

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে নিহত দুই মুসলিম ব্যক্তির বাড়ি যাওয়া এড়ালেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী

শুক্রবারের ঘটনায় যে দু’জনের মৃত্যু হয়, তাঁদের নাম সুলেমন ও আনাস। সুলেমনের বয়স কুড়ি ও আনাসের বয়স পঁচিশ।

বিতর্কে জড়ালেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি (BJP) মন্ত্রী কপিল দেব আগরওয়াল।

বিজনৌর:

উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বিজনৌর জেলায় গত শুক্রবার নাগরিকত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদ আন্দোলনে আহত এক ব্যক্তির বাড়িতে যাওয়ার সময় বিতর্কে জড়ালেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি (BJP) মন্ত্রী কপিল দেব আগরওয়াল। বিতর্কের সূচনা আন্দোলনে দুই নিহত মুসলিম ব্যক্তির বাড়ি ওই নেতা না যাওয়ায়। এদিন তিনি ওমরাজ সাইনির বাড়িতে দেখা করতে যান। ওমরাজ ওই প্রতিবাদ আন্দোলনে আহত হন। উত্তরপ্রদেশের ওই শহরে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাননি কপিল দেব।

ওমরাজ সাইনি ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর বিজনৌরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কপিল দেব আগরওয়াল উপস্থিত হলে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন তিনি ওই দুই নিহত মুসলিম ব্যক্তির বাড়ি গেলেন না।

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সেনা প্রধানের বক্তব্যকে ‘‘রাজনৈতিক'' বলে সমালোচনা বিরোধীদের

এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘‘সরকার বলে ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ। নেহতৌরে আপনি ওমরাজ সাইনির বাড়িতে গেলেন। প্রিয়ঙ্কা গান্ধিও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। কিন্তু এরপর তিনি মৃত দুই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন। এঁদের মধ্যে একজন বুলেটবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। এভাবে ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ' কী করে হবে?''

দিল্লির 'টুকরে-টুকরে' গ্যাংয়ের একটা শিক্ষা হওয়া উচিত: অমিত শাহ

3t8lplr

উত্তরে ওই মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি কেন দাঙ্গাবাজদের বাড়ি যাব? আমার কথা শুনে নিন‌। যারা দাঙ্গা বাঁধায় তারা সমাজের অংশ হয় কী করে? কেন আমি সেখানে যাব? এটা হিন্দু-মুসলিমের ব্যাপার নয়। আমি কেন দাঙ্গাবাজদের কাছে যাব?''

ওমরাজের পরিবারে দাবি, ওমরাজ কোনও হিংসায় জড়িত নন। তিনি মাঠ থেকে ফিরছিলেন। তখনই তাঁর গায়ে গুলি লাগে।

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশের বহু অঞ্চলে বিপুল প্রতিবাদের ঘটনা ঘটেছে।

উত্তরপ্রদেশে একুশ জনের মৃত্যু হয়। অধিকাংশই মারা গিয়েছেন বুলেটবিদ্ধ হয়ে। শুক্রবারের ঘটনায় যে দু'জনের মৃত্যু হয়, তাঁদের নাম সুলেমন ও আনাস। সুলেমনের বয়স কুড়ি ও আনাসের বয়স পঁচিশ। প্রাথমিক ভাবে অস্বীকার করলেও পরে পুলিশ NDTV-র কাছে স্বীকার করে পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে সুলেমনের। পুলিশ জানায়, দেশি পিস্তল দিয়ে সুলেমন এক পুলিশের দিকে গুলি চালালে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় ওই পুলিশকর্মী। তাতেই মৃত্যু হয় সুলেমনের। সুলেমনের পরিবার অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, সুলেমনের সঙ্গে সেদিনের প্রতিবাদ আন্দোলনের কোন‌ও সম্পর্ক নেই।

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে এদেশে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের দাবি, এই আইনে মুসলিমদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে এবং এই আইন সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।

.