Read in English
This Article is From Sep 29, 2018

কনস্টেবলের গুলিতে তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর মৃত্যু, ‘অপরাধ’ মানলেন ডিজি

তল্লাশির জন্য গাড়ি না থামানোয় লখনউতে তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় কনস্টেবল অপরাধ করেছেন বলে মনে করেন উত্তর প্রদেশ পুলিশের ডিজি ওপি সিং।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

এডিজি আনন্দ কুমার জানিয়েছেন এই ঘটনাটা পুলিশ বাহিনীর কাছে  লজ্জার।

Highlights

  • কনস্টেবল অপরাধ করেছেন বলে মনে করেন উত্তর প্রদেশ পুলিশের ডিজি
  • ডিজির আশ্বাস দ্রুত সুবিচার হবে।
  • পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তথ্য প্রযুক্তি কর্মী বিবেক সহায়ের
লখনউ:

তল্লাশির জন্য গাড়ি না থামানোয় লখনউতে তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় কনস্টেবল অপরাধ করেছেন বলে মনে করেন উত্তর প্রদেশ পুলিশের ডিজি ওপি সিং। ইতিমধ্যেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিজির আশ্বাস দ্রুত সুবিচার হবে। 38 বছরের বিবেক তিওয়ারিকে লখনউর গোমতি নগর এলাকায়  শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ গুলি করা হয়।গুলি লাগার পর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার সময় বিবেকের সঙ্গে  ছিলেন তাঁর এক প্রাক্তন সহকর্মী।  গোমতি নগর এলাকায় এসে পৌঁছতেই বিবেককে গাড়ি থামাতে  বলে পুলিশ। কিন্তু তা তিনি করেননি। প্রথমে রাস্তার উপর থাকা বাইকে ধাক্কা মারেন। পরে  পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা  করে বলে প্রথমে  দাবি করেছিল পুলিশ ।                                     

 গুলি চালানোর কারণ হিসেবে আত্মরক্ষার কথা বলেছিলেন কন্সটেবল প্রশান্ত কুমার। তিনি জানান গাড়িটিকে দেখে  আমাদের সন্দেহ হওয়ায় চালককে দাঁড় করাতে বলি। গাড়ির সামনে আমাদের বাইকটিকে দাঁড়ও করিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু তাতেও না থামিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিবেক। আমি ভয় দেখাতে পিস্তল  পর্যন্ত বের করি। তখন তিনি আমায় চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আর তাই বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষার তাগিদে আমায়  গুলি চালাতে হয়। তবে পুলিশের বক্তব্যের সঙ্গে বিবেকের সহযাত্রীর দাবি মিলছে না। ওই মহিলা প্রথম থেকেই বলছেন আমরা বুঝতে পারছিলাম না কারা গাড়ি থামাতে বলছে। আর তাই সেখান থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু তার আগেই রিভলভার বের করে গুলি চালানো হয়। ঘটনায় অভিযোগ  দায়ের করেছেন ওই মহিলা। পুলিশ কর্তাদের  কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে কনস্টেবল সত্যি বলেননি।       

 এ প্রসঙ্গে ডিজি আরও জানান, এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। ওই দুই কন্সটেবলের পুলিশে  থাকার অধিকার নেই। তাঁদের অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা  করা হবে। ঘটনায় স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম বা সিট গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে সিবিআইকে দিয়েও ঘটনার তদন্ত করানো হতে পারে বলে জানিয়েছন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এডিজি আনন্দ কুমার জানিয়েছেন এই ঘটনাটা পুলিশ বাহিনীর কাছে  লজ্জার।

Advertisement

 মৃতের স্ত্রী কল্পনা তিওয়ারি বলেছেন পুলিশ বলছে বিবেক   আপত্তিকর অবস্থায় ছিলেন। তাহলে তাঁকে ধরা হল না কেন? এটাও তো একটা অপরাধ। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার প্রশ্ন এটাই কি তাহলে এ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার বর্তমান পরিস্থিতি। বিবেকের কাকা তিলক তিওয়ারি বলেছেন আমিও পুলিশের ইন্সপেক্টর ছিলাম। কখনও শুনিনি কাউকে থামাতে গেলে ঘাড়ে গুলি করতে হয়!           

 

Advertisement
Advertisement