হিমাংশু রায় ছিলেন মুম্বাইয়ের অতিরিক্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক
মুম্বাই:
মুম্বাইয়ের বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি, সেই হিমাংশু রায় মুম্বাই পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শুক্রবার তার বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। হিমাংসু রায় অতিরিক্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক ছিলেন। তিনি পূর্বে মহারাষ্ট্রের অ্যান্টি-সন্ত্রাস স্কোয়াডের নেতৃত্বে ছিলেন। এর আগে তিনি মহারাষ্ট্রের অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অনেক দিন ধরে ক্যানসারের চিকিৎসার কারণে তিনি ছুটিতে ছিলেন। শুক্রবার দুপুর 1.40 নাগাদ মুম্বাইয়ের বাড়িতে নিজের সার্ভিস রিভলবার দিয়ে তিনি এই কান্ড ঘটিয়ে ফেলেন। হাসপাতালে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। 2013 সালের আইপিএল স্পট ফিক্সিং থেকে পল্লবী পুরকায়স্থ ও জে কে দে খুনের মত বড় বড় তদন্তের দায়িত্ব ছিল তার ওপর।
2015 সালে মহারাষ্ট্র পুলিশ দপ্তরের নামে কিছু অভিযোগ করার পর থেকেই তিনি ক্রমশই সকলের থেকে একটু আড়াল হয়ে পড়ে ছিলেন। এম এন সিং জানিয়েছেন, " হিমাংশু ছিলেন একজন উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব,"
পুলিশের দপ্তর থেকে জানা যাচ্ছে তার এখনো সাত বছরের চাকরি বাকি ছিল। মহারাষ্ট্রের অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াডে নেতৃত্ব দেওয়া কালীন তিনি সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার আনিজ আনসারিকে আমেরিকার স্কুলে নাশকতার ছকে গ্রেফতার করে ছিলেন।
অনেকের মুখেই এখন শোনা যাচ্ছে তিনি স্বাস্থ্য সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। তবুও বিভিন্ন মাধ্যমকে পাওয়া খবর থেকে জানা যাচ্ছে, তিনি সময়ের আগেই পুলিশ দপ্তর থেকে অবসর নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড থেকে অপসারিত হওয়ার পর থেকে তিনি শারীরিক সমস্যার কারণে ছুটিতে ছিলেন।
মহারাষ্ট্রের পুলিশ দপ্তরের অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায়, কয়েকটি বিষয় নিয়ে তিনি কিছু প্রতিবাদ করার পর থেকে উচ্চ বিভাগ তাকে বেশ কিছু বিষয় থেকে দূরে রাখতে শুরু করে। আর ক্যানসার ধরার পর থেকেই শারীরিক অবনতির কারণে তিনি আর কাজ করতে পারছিলেন না। এবং শেষ অবধি শুক্রবার তিনি এই ভাবে নিজেকে শেষ করে ফেললেন। এই মুহূর্তে তার শরীরের পোস্ট মর্টাম চলছে। রিপোর্ট জানা যাবে খুব তাড়াতাড়ি।