মন্ডল কমিশন রিপোর্টের লেখকের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বলেন তিনি
হাইলাইটস
- কুশওয়ারা পরিচিত চাষ-আবাদের জন্য
- মিষ্টি-কথার নেপথ্যে রাজনৈতিক মহল খুঁজে পাচ্ছে, তাঁর দলের উদ্দেশ্য
- যাদবদের পরেই বিহারে সবথেকে বেশি ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে কুশওয়াদেরই
পাটনা: কে কত আসন পাবে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে তা নিয়ে হিসাবনিকাশ তুঙ্গে। বিহারে এখনও তা নিশ্চিত নয়। তবে উপেন্দ্র কুশওয়ার মনে এখন কেবলই মিষ্টি! এবং, ‘ক্ষীর’-এর যে রেসিপিটা দিয়েছিলেন তিনি, তা পুরো উৎসবের আবহ তৈরি করে দিয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের শিবিরে। নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য উপেন্দ্র কুশওয়ার সঙ্গে লালুপ্রসাদ যাদবের দলের সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। কিন্তু, গত শনিবার বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিখ্যাত মন্ডল কমিশন রিপোর্টের লেখক বি পি মন্ডলের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বলতে উঠে তিনি বলেন, “যাদবদের থেকে দুধ নিয়ে ক্ষীর তেড়ি করতে পারেন এবং চাল নিতে পারেন কুশওয়াদের থেকে”। ঐতিহ্যগত ভাবেই যাদবরা দুধের ব্যবসার জন্য পরিচিত। কুশওয়ারা পরিচিত চাষ-আবাদের জন্য।
“আমরা চিনি নেব ব্রাহ্মণদের কাছ থেকে। তুলসী নেব চৌধুরীজির কাছ থেকে। এবং, অত্যন্ত সুস্বাদু ক্ষীর তৈরি করব পিছিয়ে পড়া শ্রেণী ও দলিতদের কাছ থেকে শুকনো ফল নিয়ে। তারপর সকলে মিলে তৃপ্তি সহকারে খাব সেই ক্ষীর”, ওই সভায় বক্তৃতা দিতে এসে এই কথা বলেন উপেন্দ্র কুশওয়া।
মন্ত্রীর এই মিষ্টি-কথার নেপথ্যে রাজনৈতিক মহল খুঁজে পাচ্ছে, তাঁর দলের মূল উদ্দেশ্য। তা হল, নির্বাচনের সময় নিজেদের দলের জন্য যতটা সম্ভব বেশি আসন রাখা।
প্রসঙ্গত, যাদবদের পরেই বিহারে সবথেকে বেশি ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে কুশওয়াদেরই।