রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শীর্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উৰ্জিত প্যাটেল।
হাইলাইটস
- রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শীর্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উৰ্জিত
- আরবিআইয়ের গভর্নরের দাবি ব্যক্তিগত কারণেই তিনি পদ ছেড়েছেন
- ২০১৬ সালে তিন বছরের জন্য পদে আসীন হন উৰ্জিত।
নিউ দিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সংঘাতেই কারণেই তিনি গভর্নরের পদ ছেড়ে দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি নিজে অবশ্য ব্যক্তিগত কারণের কথাই বলেছেন। তিনি জানান কয়েকটি ব্যক্তিগত কারণেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।
আরবিআইয়ের ব্যাঙ্কের উদ্বৃত্ত ব্যবহার থেকে শুরু করে আরও কয়েকটি বিষয়কে কেন্দ্র করে গোলমাল দেখা দেয়। গত মাসে টানা ন' ঘণ্টা ধরে বৈঠকে করে দুপক্ষ। আর সেখানে উদ্বৃত্ত অর্থের একটা অংশ দেওয়ার জন্য প্যানেল গঠনেও সম্মত হয় আরবিআই। তাছাড়া বাজারে আরও বেশি পরিমাণে অর্থের জোগান দিতেও সম্মত হয় ব্যাঙ্ক।
উৰ্জিত লিখেছেন, ‘ ব্যক্তিগত কারণে আমি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আরবিআইতে কাজ করতে পারা আমার কাছে গর্বের বিষয়। আরবিআইয়ের কর্মী ও আধিকারিকদের পরিশ্রম-ই ব্যাঙ্ককে সাম্প্রতিক সময়ে সাফল্যের সরণিতে নিয়ে এসেছে। আমায় সাহায্য করেছেন বলে আমি আরবিআইয়ের কর্মী, আধিকারিক থেকে শুরু করে পরিচালন সমিতিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। '
২০১৬ সালে তিন বছরের জন্য পদে আসীন হন উৰ্জিত। তাঁর আগে দায়িত্বে ছিলেন রঘুরাম রাজন। এই ইস্তফার পর রঘুরাম টুইটে দাবি করেন পদত্যাগ নিয়ে গোটা দেশের চিন্তা করা উচিত। অন্যদিকে পরপর দুটি টুইট করে উৰ্জিতকে ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরে। আর এটাও শোনা গিয়েছিল পদত্যাগ করতে পারেন রিসার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর উৰ্জিত প্যাটেল। টাকা এবং বন্ডের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা তিনি ভাবছেন বলে দাবি কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল দাবিও করেছিল । এরই মাঝে বেনজির পদক্ষেপও করার কথা ভাবে কেন্দ্র। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ পত্র জানায় কার্যত বেনজির ভাবে আরবিআই সংক্রান্ত আইনের একটি ধারার ব্যবহার করতে চায় সরকার। এর ফলে জন স্বার্থে আরবিআইকে নির্দেশ দিতে পারবে কেন্দ্র। এর আগে কখনও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে এ ব্যাপারে আরবিআই গভর্নরকে চিঠি লিখেছে কেন্দ্র। তাতে বলা হয়েছে আরবিআই আইনের সাত নম্বর ধারার প্রয়োগ করতে চায় তারা। এই ধারায় বলা হয়েছে সরকার নিয়মিত ভাবে জনস্বার্থে আরবিআইকে নির্দেশ দিতে পারে। স্বাধীন ভারতে এই ধারার ব্যবহার আগে কখনও হয়নি। এরপর দুটি বৈঠক হয়। একটি আরবিআইয়ের পরিচালন সমিতির অন্যটি হয় প্রধানমন্ত্রী আর আরবিআই গভর্নরের মধ্যে। আর তখনকার মতো গোলমাল মেটার সম্ভবনা দেখা গিয়েছিল কিন্তু তা আজ ভুল প্রমাণিত হল।