Jammu and Kashmir news: মার্কিন হাউসের বিদেশ বিষয়ক কমিটির শুনানিতে বক্তব্য রাখছেন আরতি টিকু সিং
হাইলাইটস
- আরতি টিকু সিং বলেন, মার্কিন কংগ্রেসের ওই শুনানি "পক্ষপাতদুষ্ট"
- তিনি বলেন, "এটি ভারতের বিপক্ষে এবং পাকিস্তানের পক্ষে"
- মার্কিন কংগ্রেসের মহিলা সদস্য ইলহান ওমরের সঙ্গে বাগযুদ্ধ বাঁধে তাঁর
নয়া দিল্লি: পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত ও কাশ্মীরের (Kashmir) গণহত্যায় অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনও মানবাধিকারকর্মী এবং সংবাদমাধ্যমের এ নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই, তাঁরা জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ৩০ বছরের এই সন্ত্রাসকে পুরোপুরি উপেক্ষা করেছে, বিস্ফোরক অভিযোগ করেন সাংবাদিক আরতি টিকু সিং। মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেস উপ-কমিটির শুনানিতে ওই কথা বলেন তিনি। কড়া বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি,ওই সাংবাদিক (Aarti Tikoo Singh) মার্কিন কংগ্রেসের ওই শুনানিকে "পক্ষপাতদুষ্ট, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, ভারতের বিরুদ্ধে এবং পাকিস্তানের পক্ষে" বলেও অভিহিত করেছেন। ওয়াশিংটনে "দক্ষিণ এশিয়ায় মানবাধিকার" সংক্রান্ত বিষয়ে মার্কিন হাউস বিদেশ বিষয়ক কমিটির শুনানিতে ওই সাংবাদিক বক্তব্য রাখেন।
ওই শুনানি চলাকালীন তিনি বলেন, "শুধুমাত্র পক্ষপাতদুষ্ট হয়েই ১৫ হাজার কাশ্মীরি মুসলিম নাগরিককে মেরে ফেলা হয়েছে"। তিনি আরও বলেন, "১৯৯০ সালে কাশ্মীর থেকে জাতিগতভাবে সাফ হয়ে যাওয়া তিন লক্ষ কাশ্মীরি পন্ডিতদের বিরুদ্ধে যা যা করা হয়েছিল সেগুলিও পক্ষপাতদুষ্টতার প্রভাবেই হয়েছিল। ১৯৯০ সালে কাশ্মীরে কাজ করা সাতশোরও বেশি কাশ্মীরি পন্ডিতের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট পদক্ষেপ করা হয়"।
কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নয়নে ভারতের পদক্ষেপকে স্বাগত: মার্কিন আমলা
"আমি যে মৌলিক বিষয়টিতে জোর দিতে চাইছি তা হল যে সন্ত্রাসবাদীরা কাশ্মীরে সন্ত্রাস ও গণহত্যা চালিয়েছে তাঁদের বরাবর মদত দিয়ে এসেছে পাকিস্তান। কাশ্মীরে যে সকল কাশ্মীরি মুসলমান নিহত হয়েছেন তাঁদের সংখ্যা অপরিসীম এবং তাঁরা পাকিস্তানি দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন, যেটি আসলে একটি সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র। কাশ্মীরে ৩০ বছরের ইসলামিক জিহাদ ও সন্ত্রাসের ঘটনাগুলিও পাকিস্তানের মদতে সংঘটিত হয়েছে এবং বিশ্ব সংবাদমাধ্যমগুলি এই ঘটনাগুলিকে একেবারে উপেক্ষা করেছে", ভারতের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন ওই বিশিষ্ট সাংবাদিক।
কথোপকথনের সময়, এমএস সিংয়ের সঙ্গে মার্কিন কংগ্রেসের মহিলা সদস্য ইলহান ওমরের বাগযুদ্ধ বাঁধে।ওমর তাঁকে পরামর্শ দেন যাতে ওই সাংবাদিকটি শ্রোতাদের প্রতি দায়িত্ববান হন এবং "অবিশ্বাস্যভাবে সন্দেহজনক" দাবি না করেন। "এমএস সিং, একজন রিপোর্টারের কাজ হ'ল যা ঘটছে তার উদ্দেশ্যমূলক সত্যটি খুঁজে বের করে জনগণকে জানানো। আপনার টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক বিশাল শ্রোতা রয়েছে এবং এই জন্যেই আপনার একটি বিশাল দায়িত্বও রয়েছে। আমি কীভাবে সচেতনভাবে একটি সত্যকে বিকৃত করতে পারেন I আমি এটা বুঝতে পারছি যে কীভাবে আপনি কেবল গল্পের সরকারি দিকটি ভাগ করে নিচ্ছেন সরকারের এক মুখপাত্র হয়ে। কাশ্মীরের একমাত্র সমস্যা হল সন্ত্রাসবাদ, এমনটাই আপনি বোঝাতে চাইছেন। সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষের যদি মানবাধিকারের পক্ষে ভাল হতো তাহলে এটি এতো গোপনে ঘটত না। কাশ্মীর দখল এবং যোগাযোগ বন্ধের বিরুদ্ধে যখন সেখানে একটি নারীবাদী মামলা হয়েছে, তখন আপনি বলেছেন যে এই পদক্ষেপ নারীদের পক্ষে আরও ভাল হবে", কটাক্ষের সুরে বলেন তিনি।
পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়াই ভারতের সঙ্গে আলোচনার "প্রধান বাধা"! মনে করছে আমেরিকা
জবাবে ভারতীয় সাংবাদিক বলেন, "আমার পেশাদার রেকর্ড হ'ল আমি কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে শুরু করে গোহত্যাকে কেন্দ্র করে গণপিটুনি পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের প্রতিটি সরকারকে কটাক্ষ করেছি। আমার গত ২০ বছরের পেশায় সর্বত্র নিরপেক্ষ থাকারই রেকর্ড রয়েছে । সুতরাং ওনার... আমার বিরুদ্ধে এই জাতীয় অভিযোগ করা সত্যিই নিন্দনীয়। "
এর আগে মঙ্গলবার মার্কিন সহকারী সচিব এলিস ওয়েলস বলেন, “কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে এখনও উদ্বিগ্ন রয়েছে ডিপার্টমেন্ট, যেখানে ৫ অগস্ট, যখন ভারত সেখান থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহারের ঘোষণা করে, তার পদক্ষেপের প্রভাব পড়ে ৮ মিলিয়ন সংখ্যক মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ওপর”। তিনি বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের তিনজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীসহ স্থানীয় বাসিন্দা ও রাজনৈতিক নেতাদের আটক করা নিয়ে ভারত সরকারের পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডিপার্টমেন্ট”। তিনি আরও বলেন, “আমরা ভারতের কর্তৃপক্ষকে মানবধিকারকে সম্মান জানাতে বলেছি, এবং ইন্টারনেট, মোবাইলসহ পরিষেবাগুলি ফেরাতে অনুরোধ করেছি”।