মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ইরানকে কখনই পরমাণু শক্তিধর হতে দেবেন না তিনি
নয়াদিল্লি: ইরান-আমেরিকার (Iran-America) সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে কূটনৈতিক মহলে। মধ্য প্রাচ্যের একাধিক দেশও তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, এই পরিস্থিতিতে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানালেন, ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলায় কোনও মার্কিন সেনার ক্ষতি হয়নি, মধ্য এশিয়ায় উত্তেজনা কমাতে ইরান নেতৃত্বের প্রতি শান্তির বার্তাও দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউজ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমাদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমাদের সমস্ত সেনা জওয়ান সুরক্ষিত এবং সবচেয়ে কম ক্ষতিই হয়েছে আমাদের সেনা ঘাঁটিতে”। ইরাকের যে অঞ্চলে মার্কিন এবং যৌথ বাহিনীর সেনাঘাঁটি রয়েছে, তারমধ্যে দুটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে প্রায় একডজন ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইরান, এটিকে তারা “আমেরিকার গালে থাপ্পড়” বলে মন্তব্য করেছে।
আমাদের বদলা সম্পূর্ণ, এখন যুদ্ধ চাই না: দিল্লিতে বললেন ইরানের রাষ্ট্রদূত
ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, শুক্রবার মার্কিন ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয় জেনারেল কাসেম সুলেমানির, তারই বদলা হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে, জেনারেলকে যে হামলায় হত্যা করা হয়েছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্প, এমনই জানানো হয়েছে সেদেশের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে।
ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দাবি করা হয়, “অন্তত ৮০ জন জঙ্গি মার্কিন সেনা” এই হানায় মারা গিয়েছে। আইএস এর বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর লড়াইয়ে ইরাকে রয়েছে অন্তত ৫,০০০ মার্কিন সেনা।
জেনারেল কাসেম সুলেমানিকে নিষ্ঠুর জঙ্গি বলে বর্ণনা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “গতরাতে ইরানের হামলায় কোনও মার্কিন নাগরিকের ক্ষতি হয়নি”।
ইরাকে বসবাসকারী ভারতীয়দের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিল ভারত সরকার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ইরানকে কখনই পরমাণু শক্তিধর হতে দেবেন না তিনি। তাঁর কথায়, “যতদিন আমি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকব, ইরান ততদিন পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হতে পারবে না”।
ইরানের নেতৃত্ব এবং সাধারণ মানুষকে সরাসরি বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “যিনি চান, তাঁর সঙ্গেই শান্তি আলোচনায় প্রস্তত” আমেরিকা।
তিনি বলেন, “ইরানের সাধারণ মানুষ এবং নেতাদের বলছি, আমরা চাই আপনাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত, আপনার যার দাবিদার”।