শুক্রবার ওসাকায় ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মোদি। (ফাইল)
হাইলাইটস
- ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন, আমেরিকার উপর ভারতের আরোপিত শুল্ককে ‘গ্রহণযো
- শুক্রবার ওসাকায় মোদির সঙ্গে দেখা হলে তিনি এটা তুলে নিতে বলবেন।
- জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দুই বিশ্বনেতা পৌঁছেছেন জাপানে।
নয়াদিল্লি/ ওসাকা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠকের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানিয়ে দিলেন, আমেরিকার (US) উপর ভারতের আরোপিত শুল্ককে ‘গ্রহণযোগ্য নয়'। এটা তুলে নিতেই হবে। বৃহস্পতিবার একটি টুইটে ট্রাম্প লেখেন, মোদির সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলতে তিনি মুখিয়ে আছেন। শুক্রবার থেকে শুরু হতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দুই বিশ্বনেতা পৌঁছেছেন জাপানে। সেই সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠকে বসবেন ট্রাম্প ও মোদি। মার্কিন রাষ্ট্রপতি তাঁর টুইটে লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলার জন্য আমি তাকিয়ে আছি। বহু বছর ধরেই ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপরে খুবই বেশি শুল্ক চাপিয়ে রেখেছে। সম্প্রতি সেই শুল্ক আরও বাড়িয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এবং এই শুল্ক তুলে নিতেই হবে।''
জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানে মোদি, হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক: ১০টি তথ্য
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারতের বক্তব্য এই শুল্ক মোটেই বেশি নয় অন্য সমস্ত উন্নয়নশীল দেশের তুলনায়।
ভারত আমেরিকার উপরে ২৮টি মার্কিন সামগ্রীর ক্ষেত্রে বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে। ১ জুন থেকে আমেরিকা ভারতকে বাণিজ্যের ছাড় দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তারপরই এই সিদ্ধান্ত ভারতের। ট্রাম্প জানান, ভারতকে সামগ্রী বিক্রিতে ৫.৬ বিলিয়ন ডলার শুল্ক ছাড় দেন তাঁরা।
ট্রাম্প জমানায় আমেরিকা চেষ্টা করছে সমস্ত দেশের সঙ্গে বাণিজ্যে সাম্য আনতে। সে রফতানি হোক বা আমদানি। তাঁর নির্বাচনি প্রচারে ট্রাম্প বলেছিলেন, আমেরিকা অন্য দেশের থেকে ক্রয় বেশি করছে বিক্রয়ের তুলনায়। এর ফলে দেশের উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
গত কয়েক মাসে ওয়াশিংটন শুল্ক চাপাচ্ছে ও কোটি কোটি ডলারের শুল্ক ছাড় বন্ধ করেছে অন্যান্য দেশের সঙ্গে ব্যবসায়। এর মধ্যে অন্যতম ভারত ও চিন। বিশ্ব বাণিজ্য যুদ্ধে টিকে থাকতে কেবল ভারত নয় অন্য দেশগুলিও আমেরিকার উপরে শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়েছে। যার ফলে আমেরিকাকেও চেষ্টা করতে হচ্ছে যত বেশি সম্ভব রফতানি বাড়াতে।
গতকাল মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও-র সঙ্গে বৈঠক হয়বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। নিজের দেশের সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে পম্পেও বলেন, আমেরিকার অধিকার রয়েছে বৃহত্তর বাজারে প্রবেশ করার।
এই বিষয়েই এবার বিস্তারিক আলোচনা হতে চলেছে মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে।