রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প এবং কিম জং করমর্দনের জন্য একে অপরের দিকে এগিয়ে এসেছিলেন
হাইলাইটস
- সিঙ্গাপুরে করমর্দন করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং
- ''এখানে আসা এত সহজ ছিল না।'' কিম জং
- ''আমাদের মধ্যে একটা দুর্ধর্ষ সম্পর্ক গড়ে উঠতে চলেছে...।'' ট্রাম্প
নিউ দিল্লী/ সিঙ্গাপুর:
আজ সকাল থেকেই সারা বিশ্ব সিঙ্গাপুর শীর্ষ সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে আছে।ইউএস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন একে অপরের সাথে করমর্দনের মধ্যে দিয়ে তাঁদের ঐতিহাসিক আলোচনার সূত্রপাত করেছেন।পরমাণু অচলাবস্থার অবসান ঘটানোই এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য। দুজনের মধ্যে আলোচনা সম্পন্ন করতে এক ঘন্টা সময়ও নেন নি তাঁরা।
ট্রাম্প এবং কিমের মধ্যে এই আলোচনা সঙ্ঘটিত হয় সিঙ্গাপুরের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র সেন্টোসাতে।এই দুই শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সঙ্ঘটিত বৈঠক তাঁদের সম্পর্ককে অনেকটাই বদলে দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বৈঠকের আগেই আমেরিকার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বদলে উত্তর কোরিয়াকে 'বিশিষ্ট' সুরক্ষার গ্যারান্টি পেশ করা হয়েছে।হোয়াইট হাউস থেকে কালই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, প্রথমে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প এবং কিম একই আলোচনা করবেন, তাঁদের কথোপকথনের সুবিধার জন্য অনুবাদক উপস্থিত থাকবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জোর দিয়েছে যে, কোরিয়ার উপদ্বীপে সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের চেয়ে আর কোনো কিছুই মূল্যবান নয়।উত্তর কোরিয়ার আধিকারিক সংবাদ সমিতি রবিবার জানিয়েছিল, কিমের সাথে আলোচনার সময় ''পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ' এবং 'স্থায়ী শান্তি' এই দুটি বিষয়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে।শনিবার ট্রাম্প জানিয়েছিলেন যে, কিমের কাছে 'ইতিহাস গড়ার' একটা সুযোগ আসছে।
কিমের সাথে আলোচনা সম্পন্ন হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, তাঁদের আলোচনা সফল হয়েছে, তিনি এই বৈঠককে ''খুব ভালো মিটিং'' বলে অভিহিত করেছেন।এখন দুটি দেশর মধ্যে ডেলিগেশন লেবেল নিয়ে আলোচনা চলছে।
আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ডেলিগেশন-এর বৈঠক চলছে।
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ও কিম জং-এর মধ্যে প্রায় 50 মিনিট ধরে কথা বার্তা চলেছে, এখন তা শেষ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে কিম জং জানিয়েছেন যে, সেখানে পৌঁছানো এত সহজ ছিল না, বহু বাধা অতিক্রম করে তারপর তিনি এসেছেন।