টেক্সাসে “হাউডি মোদি” অনুষ্ঠাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় প্রধানমন্ত্রী মোদির
নয়াদিল্লি: ভারত ও পাকিস্তান নিয়ে মঙ্গলবার আবারও সাহায্যএর পক্ষে সওয়াল করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump), ভারত তীব্র বিরোধিতা করার পরেও এই নিয়ে চতুর্থবার সাহায্যের কথা বললেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় (UN General Assembly) ভাষণের আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি মনে করি,পাকিস্তান উদ্বিগ্ন, ভারত কথা বলছে, আমি নিশ্চয় সাহায্য করব। আমি মনে করি, আমার সাহায্যের মতো তাদের কোনও উপায় প্রয়োজন। তবে তাদের এটা চাইতে হবে। তাদের খুবই আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এবং তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন”। ২৪ ঘন্টা আগেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে তাঁর মধ্যস্থতা করার কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প।
“এই ধরণের সাংবাদিক আপনি কোথায় পাবেন”?: ইমরান খানকে বললেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতা করার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে ভারত জানিয়েছে, কোনও তৃতীয়পক্ষের মধ্যস্থতা হবে না।
মঙ্গলবার পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমকে অপেক্ষা করতে বলেছে বিদেশমন্ত্রক, এদিনই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের আগে, যৌথ বিবৃতিতে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যদি ভারত ও পাকিস্তান চায়, তাহলে কাশ্মীর নিয়ে তিনি মধ্যস্থতায় “প্রস্তুত, সক্ষম এবং ইচ্ছুক”।
দুবার সেই প্রস্তাব ভারত খারিজ করে দেওয়ার পরেও,মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি যদি সাহায্য করতে পারি, আমি নিশ্চয়ই তা করব...যদি উভয়েই (ভারত ও পাকিস্তান) চায়, তাহলে আমি তা করতে প্রস্তত...প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী খানের সঙ্গেও আমার ভাল সম্পর্ক..আমি একজন ভাল মধ্যস্থতাকারী হতে পারি। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমি কখনও ব্যর্থ হইনি”।
দেখুন: কীভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চোখ দিয়ে বিঁধলেন গ্রিটা থানবার্গ
একদিন আগেই “হাউডি মোদি” অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একমঞ্চে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তার একদিন পরেই মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন তিনি।
জুলাইয়ে ইমরান খানের সঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রথমবার মধ্যস্থতার কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপরে তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাকি তাঁকে অনুরোধ করেছেন, কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করার জন্য। তারপরেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নির্দিষ্টভাবে সেই দাবি খারিজ করে জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কখনও এই ধরণের কোনও অনুরোধ করেননি।
অগস্টে, ভারতের অবস্থান পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অনেকগুলি দ্বিপাক্ষিক বিষয় রয়েছে, এবং আমরা কোনও তৃতীয় দেশকে বিপাকে ফেলতে চাই না। দ্বিপাক্ষিকভাবেই আমরা এগুলি সমাধান করতে পারব”।