This Article is From Feb 23, 2019

"অত্যন্ত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি", ভারত-পাক 'সম্পর্ক' নিয়ে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখ খুললেন পুলওয়ামা হামলা নিয়ে। তিনি জানালেন, এই মুহূর্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাস্পরিক সম্পর্কের অবস্থা খুব খারাপ।

এর আগে পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার ঘটনাকে 'ভয়ানক' বলে নিন্দা করেছিলেন ট্রাম্প

হাইলাইটস

  • দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর: ডোনাল্ড ট্রাম্প
  • পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪০ জনের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন
  • রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদও বিবৃতি দিয়ে পুলওয়ামা হামলার নিন্দা করে
ওয়াশিংটন:

জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় সিআরপিএফ জওয়ানদের জঙ্গিহানার ঘটনায় শহিদ হওয়ার পর পেরিয়ে গিয়েছে আটটা দিন। শহিদ হয়েছেন ৪০ জনের বেশি জঙ্গি। ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। পুলওয়ামায় জঙ্গি হানা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে পেশ করা নিজেদের বিবৃতিতে চিনের আপত্তি সত্ত্বেও জইশের নাম উল্লেখ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছে গোটা বিশ্ব। এমন সময়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখ খুললেন। তিনি জানালেন, এই মুহূর্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাস্পরিক সম্পর্কের অবস্থা খুব খারাপ। তাঁর কথায়, “এই মুহূর্তে এই দুই দেশের মধ্যে যা চলছে, তা ভয়ঙ্কর। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আমরা চাই এটা (হিংসা) থামুক। কতগুলো মানুষ বেমালুম মারা গেলেন। আমরা চাই এটা বন্ধ হোক অবিলম্বে। আমরা এটা (হিংসা থামানোর প্রক্রিয়া)-র সঙ্গে প্রবলভাবে যুক্ত”। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানায়, তাঁর ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কথাগুলি বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি বলেন, “ভারত এখন অত্যন্ত শক্তিশালী কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করার চেষ্টা করছে। এই হানায় ভারতের প্রায় ৫০ জন মারা গিয়েছে। আমি এই অনুভূতিটা বুঝতে পারি”। তিনি জানান, তাঁর প্রশাসন এই দুই দেশের সঙ্গেই কথা চালাচ্ছে। “আমরা কথা বলছি। বহু মানুষ কথা বলছেন। সকলেই চান এই ব্যাপারটির একটি ইতিবাচক নিষ্পত্তি হোক। দু'পক্ষেরই অত্যন্ত ভারসাম্য রেখে চলা দরকার। যে ঘটনা ঘটেছে, তারপর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে বহু সমস্যার জন্ম দিয়েছে”, বলেন ট্রাম্প।

pt4v27ag

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর কাশ্মীর উপত্যকায় ভারতীয় সেনার ওপর সবথেকে বড় হামলা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামাতে। তারপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভে, বিরক্তিতে ফেটে পড়ে গোটা দেশ। কূটনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে একঘরে করে দেওয়ার প্রক্রিয়াও ভারত শুরু করে আন্তর্জাতিক মহলে। শুক্রবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ভারতকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, ভারত এই মুহূর্তে যা করছে তার জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে পাক সেনার।

পাকিস্তানের থেকে ‘মোস্ট ফেভারড নেশন'-এর তকমা ছিনিয়ে নেয় ভারত। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের পণ্যের ওপর ২০০ শতাংশ বেশি শুল্ক চাপানোর কথাও ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।

.