কিছুদিন আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
নয়া দিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) নিয়ে কথা বলুক ভারত (India) ও পাকিস্তান (Pakistan), এমনটাই চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের সময় কাশ্মীর ইস্যুতে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump), হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে একথা জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। জম্মু ও কাশ্মীরকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদাকে (Article 370) অবলুপ্ত করার জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের পদক্ষেপের পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় আমেরিকা। এমনকি বিযয়টি রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে পৌঁছলে জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করে নিরাপত্তা পরিষদ।
“পুরোপুরিই অভ্যন্তরীণ বিষয়”, কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর বলল ভারত
যদিও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি দাবি করেছেন যে ইমরান (Imran Khan) ও ট্রাম্পের (Donald Trump) মধ্যে "সৌহার্দ্যপূর্ণ আলাপচারিতা" হয়েছে, এবং কাশ্মীর সংক্রান্ত বিষয়েও কথা হয়েছে। রেডিও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সে দেশের বিদেশমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, "কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী এবং সেখানকার আঞ্চলিক শান্তি বিপন্ন হওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।"
জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) নিয়ে টেলিফোনে কথা হওয়ার পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইমরান খান আফগানিস্তান নিয়েও আলোচনা করেছেন, যেখানে তালিবানদের সঙ্গে আলোচনা করছে আমেরিকা।
সপ্তাহান্তেই কাশ্মীরে চালু হবে ফোন, আগামী সপ্তাহে খুলবে স্কুল: আধিকারিক
পরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শাহ মেহমুদ কুরেশি দাবি করেন যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে চার জনই পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে সমর্থন জানিয়েছে। তিনি আরও জানান, ফরাসী রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি পাকিস্তানের ঘোষিত মিত্র দেশ চিনের অনুরোধে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আলোচনাটি কেবল তার পাঁচটি স্থায়ী সদস্য এবং ১০ টি অস্থায়ী সদস্যের জন্য উন্মুক্ত ছিল এবং দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের করা একটি আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নথি অনুসারে, নিরাপত্তা পরিষদ ১৯৬৫ সালে জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সর্বশেষ আলোচনা করেছিল।
৫ অগাস্ট, ভারত (India) সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে এবংরাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরেই পাকিস্তান নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করে এবং পাকিস্তান থেকে ভারতীয় হাই কমিশনারকে বহিষ্কার করে । যদিও ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে যে, জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদাকে অবলুপ্ত করার জন্য এই পদক্ষেপ পুরোপুরিই একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এই বিষয়ে পাকিস্তানকে "বাস্তবতা স্বীকার করার" পরামর্শও দেওয়া হয়।