தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Jul 02, 2020

ভারতের বিরুদ্ধে চিনের আগ্রাসনই প্রমাণ করে "কমিউনিস্ট পার্টির প্রকৃত মনোভাব": আমেরিকা

US on Ladakh Standoff: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের আগ্রাসী আচরণ নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

India-China Standoff: লাদাখ এলাকায় একে অপরের বিরুদ্ধে যেন ফুঁসছে ভারত ও চিনের সেনারা (প্রতীকী চিত্র)

Highlights

  • ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনার দিকে কড়া নজর রাখছে আমেরিকা
  • চিনের আগ্রাসনের তীব্র সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
  • দু'দেশের মধ্যে হওয়া সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক, চায় আমেরিকা
ওয়াশিংটন:

বেজিংয়ের ভারত এবং অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসী আচরণই (India-China Standoff) প্রমাণ করে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির "প্রকৃত মনোভাব", এমনটাই মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  আমেরিকার সর্বেসর্বার (Donald Trump) এই ভাবনাই সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কেলি ম্যাকানেনি। পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনা সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের (US on Ladakh Standoff) ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান যে আমেরিকা দু'দেশের বর্তমান পরিস্থিতির উপর নিয়মিত দৃষ্টি রাখছে এবং  এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক এটাই চান তাঁরা। গত প্রায় ৭ সপ্তাহ ধরে পূর্ব লাদাখের একাধিক স্থানে ভারতীয় ও চিনা সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই উত্তেজনাই চরম আকার নেয় যখন গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় দু'দেশের সেনার মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। 

ইন্দো-চিন সীমান্ত সমস্যা প্রশমনে তৃতীয় বৈঠক নিষ্ফলা: প্রতিরক্ষা সূত্র

"ভারত ও চিনের মধ্যে হওয়া বর্তমান পরিস্থিতির দিকে আমরা খুব কাছ থেকে লক্ষ্য রাখছি। প্রেসিডেন্টও তাই করছেন", একথাই সাংবাদিকদের জানান হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব। তবে তিনি একথাও বলেন যে ভারত-চিন সীমান্তে তৈরি হওয়া উত্তেজনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রতি চিনের আগ্রাসী অবস্থান। "এই পদক্ষেপগুলিই সকলকে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রকৃত স্বরূপ চেনাতে সাহায্য করেছে", সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে একথাই বলেন কেলি ম্যাকানেনি।

Advertisement

ওয়েবো ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী! কিন্তু রয়ে গেল মোদি-জিনপিং ছবি

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের আগ্রাসী আচরণ নিয়ে এর আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যেভাবে দুই দেশের সীমান্ত অঞ্চলে এই হানাহানির ঘটনা ঘটেছে তার সমালোচনাও করে আমেরিকা। ট্রাম্পের দেশের তরফ থেকে একথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে, ২০১৯ সালে যখন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেদের মধ্যে সাক্ষাৎ করেছিলেন, তখন দুই নেতাই চিন-ভারত সহযোগিতার উপরেই জোর দিয়েছিলেন।

Advertisement

আমেরিকার ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো তানভী মদন হাউস সিলেক্ট ইন্টেলিজেন্স কমিটির সদস্যদের বলেন যে, "আমেরিকা যদি ভারত-চিন বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল হতে চায় বা ভারতকে সমর্থন দেখাতে চায়, তাহলে দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি যাতে আরও বাড়তে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই ধরনের সমর্থন ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে সহায়তা করবে।"

Advertisement